চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফ্রিতে টিকে থাকতে হলে আজকের ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। এমন সমীকরণে টস হেরে আগে ব্যাট করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম ইনিংস শেষে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে টিম টাইগার। ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ২৩৬। এ ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যাবে বাংলাদেশ। তখন নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচ খেলতে হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। তারপরেই ধরতে হবে ঢাকার বিমান।
ব্যাাটিং ট্র্যাকে পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্রেসওয়েল এর ঘূর্নিতে আউট হয়ে যান তানজিদ তামিম। উচিত ছিল প্রথমবারের মতো আসা স্পিন বলটাকে আগে পরখ করা। তা না করে চালিয়ে খেলে ক্যাচ আউট। স্পিনার এনেই সাফল্য পায় নিউজিল্যান্ড। ছন্দে থাকা তামিম ক্যাচ দেন উইলিয়ামসনকে। ২৪ বলে করেন ২৪ রান। দলের রান তখন ৪৫। ১২তম ওভারের শেষ বলে ফেরেন মিরাজ। ১৪ বলে করেন ১৩ রান, দলের রান তখন ৬৪। মিরাজ আউট হওয়ার পর থেমে যায় রান তোলার গতি। পরের ৬ ওভারে আসে মাত্র ১৯ রান। ২০.৩ ওভারে আউট হয়ে যান হৃদয়, আবারো আঘাত হানেন স্পিনার ব্রেসওয়েল। হৃদয় করেন ২৪ বলে মাত্র ৭। দলের ৯৭ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ মুশফিক। বয়সের কারণে তার এখন অবসরে যাওয়ার সময় হয়েছে- সেই বার্তাই দেয় তার পারফরমেন্স। দলকে বিপদে ফেলে মুশফিক চলে যান ৫ বলে ২ রান করে, ১০৬ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। উইকেটে আসেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
অন্যদের আসা যাওয়ার মাঝে চরম ধৈর্য্যের পরিচয় দেন ওপেনার শান্ত। ৭১ বলে করেন ৫০। কিন্তু, ব্রেসওয়েলের বলেই মুশফিকের পথ ধরেন রিয়াদ। ১৪ বলে করেন মাত্র ৪ রান! ২৬/১ ওভারে পড়লো পঞ্চম উইকেট। ১১৮ রানে নেই টপ অর্ডারের ৫ জন। ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেসওয়েল।
অনেক দিন ধরেই ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই বৃত্ত ভাঙ্গতে পারেনি তারা। এরপর উইকেটে আসেন জাকের আলী অনিক। ভারতের বিপক্ষে ২২৮ করেছিল বাংলাদেশ, সন্দেহ জাগে এই ম্যাচে হয়তো সেটুকুও হবে না। ব্যাটিং ট্র্যাক বাংলাদেশের জন্য হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর! ডট বলের বন্যা বয়ে যায়।
ধৈর্যের পরীক্ষায় ব্যর্থ হন শান্তও। দলীয় ১৬৩ রানে (৩৭.২ ওভার) সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১১০ বলে করেন ৭৭ রান। ৬ষ্ঠ উইকেট পতনের পর বড় রানের লক্ষ্য ফিকে হয়ে যায়। আশা জাগিয়েও নিরাশ করেন জাকের আলী। ২৩১ রানে ফিরতে হয় তাকে। ৫৫ বলে জাকের আলী তাড়াহুড়া করতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান ৪৫ করে। অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে। ১০ রান করে তাসকিন যখন ফেরেন তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৬। পরের ৪ বল থেকে নাহিদা রানা কোনো রান নিতে পারেন নি।
নিউজিল্যান্ডের বোলারদের প্রধান কৃতিত্ব টাইগার ব্যাটারদের বেঁধে রাখা, রান নিতে না দেয়া। সেখানে তারা সফল। সবচেয়ে সফল বোলার ব্রেসওয়েল, যার ঝূলিতে ভরেছেন ৪ উইকেট। দুটি পেয়েছেন উইল ও রুরকি। ম্যাট হেনরি এবং কাইল জেমিসন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
২৩৬ রানও কম নয়, যদি ভালো বল করে নিয়মিত উইকেট নেয়া যায়। তবে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের শক্তিমত্তার তুলনায় বাংলাদেশের বোলাররাই পিছিয়ে। ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা, তাই আশাই বাংলাদেশের একমাত্র ভেলা।