১৫ ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পর বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে তানজিদ হাসান তামিমের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। ফিফটি করে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এ ওপেনার বাংলাদেশকে এগিয়ে দিয়েছেন ১-০ ব্যবধানে।
শুক্রবার (৩ মে) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তামিম। তার ইনিংসে ভর করে জিম্বাবুয়ের ১২৪ রানের জবাব ২৮ বল হাতে রেখেই দিয়েছে বাংলাদেশ, লাল সবুজদের জয় ৮ উইকেটে। ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তাওহীদ হৃদয়।
রানা তাড়া করতে নেমে লিটন কুমার দাস টিকতে পারেননি মিনিট কয়েকের বেশি। ব্লেজিং মুজারাবানির দারুণ এক সুইয়ে স্টাম্প উড়ে যায় তার। ৩ বলে ফেরেন ১ রান করে। স্কোর বোর্ডে ১০ রান উঠার পর শুরু হয় বৃষ্টি। ফলে কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে ম্যাচ।
বৃষ্টির পর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে ধীরে ধীরে রানের চাকা ঘুরতে থাকে বাংলাদেশের। তানজিদ মাঝেমধ্যে বাউন্ডারিও আদায় করে নিচ্ছিলেন, একবার জীবনও পান তিনি। দলীয় রান ৪৪ হওয়ার পর আবার বৃষ্টি নামে, ফলে আবারও বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ।
দ্বিতীয় দফার বৃষ্টি শেষে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে আউট হন শান্ত। এরপর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গী করে ৩৬ বলে অভিষেক ফিফটি পূর্ণ করেন তামিম। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আরও একবার জীবন পান তিনি, তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন জিম্বাবুয়ে উইকেটরক্ষক।
তামিমকে একপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে এরপর ঝড়ই তুলেন হৃদয়। ১৮ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তামিমের ৪৭ বলের ইনিংসে আছে ৮টি চার ও ২টি ছয়ের মার।
এর আগে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে জিম্বাবুয়ে। মেহেদী শেখ-তাসকিন-সাইফউদ্দিনদের তোপে হুড়মুড়িয়ে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর সফরকারীদের পথ দেখান ক্লাইভ মাদানদা ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। মাদানদা ৪৩ ও মাসাকাদজা ৩৪ রান করে ত্রাণকর্তার ভূমিকা নেন। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন তাসকিন ও সাইফউদ্দিন। ২টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান।