০৪ মে ২০২৪, শনিবার



অর্থনীতি
প্রিন্ট

দেশের রিজার্ভ আরও বাড়লো

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৩ মার্চ, ২০২৪, ১২:০৩ এএম
দেশের রিজার্ভ আরও বাড়লো


দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বেড়েছে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রায় যা ২ হাজার ৫৭৬ কোটি  ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পদ্ধতি ( বিপিএম৬) অনুসারে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চায়ন বেড়ে পৌঁছেছে ২০ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। ইউএস মুদ্রায় যা ২ হাজার ৫৭ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাপ্তাহিক নির্বাচিত অর্থনৈতিক  সূচকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে (বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবায়নে দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ওই সপ্তাহেও অর্থনীতির স্পর্শকাতর সূচকটি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। 

দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণকারী সর্বোচ্চ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গণনায় তা ছিল ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে। আইএমএফের পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী নেমে যায় ১৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলারে। পরে ২০ ফেব্রুয়ারি রিজার্ভ বেড়ে হয় ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের হিসাবায়নে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলার।

এরই মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি টাকার সঙ্গে ডলার অদলবদল ব্যবস্থা চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে ডলার-টাকা পাল্টাপাল্টি করতে পারছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য এ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এ নিয়মের আওতায় সর্বনিম্ন ৫০ লাখ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাচ্ছে।

এ পদ্ধতি চালুর পর মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ১২টি তফসিলি ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার জমা দিয়েছে। বিপরীতে সমপরিমাণ টাকা নিয়েছে। সেই সঙ্গে ফেব্রুয়ারির প্রথম তিন সপ্তাহে রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বেড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

ইতোমধ্যে আমদানিতে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে বৈদেশিক ঋণ নেয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। রিজার্ভ বৃদ্ধিতে যা সহায়তা করেছে।



আরো পড়ুন