পাকিস্তান নির্বাচনে কারাবন্দি ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থী ১০০টি আসন জিতেছে। ৭৩টি আসনে জিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। ৫৪ আসন নিয়ে তৃতীয় তরুণ রাজনীতিক বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপল’স পার্টি (পিপিপি)। অন্যান্য দল পেয়েছে ২৯টি। এগুলোর মধ্যে ১৭টি আসন পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মুত্তাহিদা কওমি পার্টি (এমকিউএম-পি)।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) ও মাওলানা ফজলুর রহমানের জমিয়ত উলামা ইসলাম (জেইউআই-এফ) ৩টি করে আসন পেয়েছে। ২টি আসন পেয়েছে ইসতেকহাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি)। এছাড়া মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিন, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-জিয়া (পিএমএল-জেড) ও বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি (বিএনপি) ১টি করে আসন জিতেছে।
জামায়াত-ই-ইসলামি পাকিস্তান (জেআইপি) ও বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি এখন পর্যন্ত কোনো আসন পায়নি। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পুরোপুরি ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় পিটিআই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বাড়ছে। তারা এরই মধ্যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
ইসিপির ফল অনুযায়ী নির্বাচনে কোনো দলই কাঙিক্ষত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তবে পিটিআই দাবি করেছে, তারা আসলে ১৭০টি আসন জিতেছে। কিন্তু অনেক আসনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীদের ‘পরাজিত’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
পুরোপুরি ফল প্রকাশ হওয়ার আগেই সরকার গঠনে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পিএমএল-এনের নেতারা।