২৬ জুন ২০২৪, বুধবার



নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী গোলাম দস্তগীর গাজী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৫:১২ পিএম
নির্বাচনে জয় নিয়ে আশাবাদী গোলাম দস্তগীর গাজী


রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ। ব্যবসায়িক ও নতুন আবাসনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে রূপগঞ্জের কদর দিন দিন বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জ-১ নির্বাচনী এলাকা হিসেবে পরিচিত রূপগঞ্জে এবার আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী মোট আটজন। স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থনে সবার চেয়ে এগিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)।

নারায়ণগঞ্জ-১ তথা রূপগঞ্জ থেকে গত তিনবারের ধারাবাহিকতায় চতুর্থবারের মতো নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। এ ছাড়াও নির্বাচনের মাঠে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে দৌড়ঝাঁপে ব্যস্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া, তৃণমূল বিএনপির অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও জাতীয় পার্টি থেকে সাইফুল ইসলাম। 

স্থানীয়রা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের গোলাম দস্তগীর গাজীর (বীর প্রতীক) দখলে অনেকটাই। এর প্রেক্ষাপট হলো, সংসদ সদস্য হিসেবে গত দেড় যুগে একসময়ের জরাজীর্ণ একটি উপজেলাকে বদলে দেওয়ার মূল কারিগর হচ্ছেন তিনি। ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও গাজীর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। 

স্থানীয়রা বলছেন, উপজেলায় স্কুল-কলেজ নির্মাণ, কয়েকটি সেতু, ভুলতা ফ্লাইওভারসহ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তিনি। স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তি-উদ্যোগে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন গাজী দস্তগীর। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকার পরও তিনি নিজ নির্বাচনি এলাকাতেই সময় দিয়েছেন বেশি।

আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছেন, গোলাম দস্তগীর গাজী সব দিক থেকেই শ্রেয়তর প্রার্থী। তিনবারের সাংসদ, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, দলের সংকটময় মুহূর্তেও থেকেছেন অবিচল। একজন শিল্পপতি এবং মন্ত্রী হওয়ার পরও নিজ এলাকায় যথেষ্ট সময় দেন। রূপগঞ্জে গাজীর বিকল্প কেবল গাজী। 

নানা শ্রেণী-পেশার কয়েকজনের সঙ্গে কথা জানা যায়, তিনি সপ্তাহে তিন দিন নিজ বাড়িতে অবস্থান করে মানুষকে সময় দিয়ে আসছেন গত ১৫ বছর ধরে। রূপগঞ্জে এর আগে আর কোনো এমপি করেছেন কি না, আমাদের জানা নেই। উন্নয়নও করেছেন যথেষ্ট। 

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভুঁইয়া। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তিনি। গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে জয়ী হতে মাঠ গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর তৃণমূল বিএনপিতে মহাসচিব হিসেবে যোগ দেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। এবার দলটির হয়ে রূপগঞ্জ আসন থেকে নির্বাচন করছেন তিনি। প্রকাশ্যে না হলেও নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন ইতোমধ্যে। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রূপগঞ্জ থেকে নির্বাচন করছেন। জাতীয় পার্টির নিষ্ক্রিয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছেন তিনি। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ শাহজাহান ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রূপগঞ্জের সন্তানই রূপগঞ্জের এমপি হবেন। জনগণের এ চাওয়া পূরণ করতে আমি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি রূপগঞ্জে গ্যাস এনেছি। বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন রূপগঞ্জের মানুষকে চাকরি দিয়ে ২৬ মাস জেল খেটেছি। হাইকোর্টে রিট করে ভূমিদস্যুদের বালু ভরাট বন্ধ করেছি। রূপগঞ্জের মানুষ চায় আমি রূপগঞ্জ থেকে নির্বাচন করি। নির্বাচিত হলে রূপগঞ্জকে বদলে দেবো।’  

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-১ আসনটি একসময় বিএনপির ঘাঁটি ছিল। ২০০৬ সাল থেকে দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথ দখল করে আন্দোলন শুরু করি। দল আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার পর বিপুল ভোটে বিজয়ী হই। পরপর তিনবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। বর্তমানে আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন অনেক শক্তিশালী।’

গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘এই রূপগঞ্জকে সাজাতে গিয়ে আমার অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। এখানে পূর্বাচল উপশহর, নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠা, ভুলতা ফ্লাইওভার নির্মাণ, গাজী সেতু, কাঞ্চন সেতু, পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে, রাস্তাঘাট প্রশস্তকরণ, নতুন নতুন রাস্তানির্মাণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ, কর্মসংস্থানসহ নানা উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবারও আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আমার পরিবারের সদস্যরা রূপগঞ্জের মানুষের জন্য কাজ করে। আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে রূপগঞ্জ থেকে নৌকা উপহার দেব প্রধানমন্ত্রীকে।’ 

/ঢাকা বিজনেস/



আরো পড়ুন