স্বাধীনতা পরবর্তী গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের পরিবর্তনের সঙ্গে অর্থনীতির সর্বোচ্চ গ্রোথ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর এক অডিটরিয়ামে ‘অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি ইমপ্লিমেন্টেশন প্রগ্রেসস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু প্রকল্প উন্নয়নে সাসটেইনেবিলিটি হলে হবে না, জলবায়ু এবং পরিবেশের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব দিতে হবে। টেকসই হচ্ছে এসডিজির কাজ করার বেসিক জায়গা; যা একটি সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে হবে। যখন এসডিজির প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়, তখন বাংলাদেশের ১১টি প্রস্তাবের মধ্যে ১০টিই বর্তমান ১৭ এসডিজি লক্ষ্যের সঙ্গে মিলে যায়। পরে সেই প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাক্ষর করেন ও এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। দূর্নীতি বন্ধে ভালো সুশাসন প্রয়োজন, আর সেই সুশাসনের জন্য অ্যাকাউন্ট সাসটেইনেবিলিটি প্রয়োজন।’
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের ব্যবসা ও অর্থনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট ও অবস্থায় অ্যাকাউন্টবিলিটি ও সাসটেইনেবিলিটি একটি বড় ভূমিকা রাখছে। জবাবদিহিতা ও স্থায়িত্ব নিশ্চিতে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল তার যে অগ্রগতি হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য দিতে চাই। একটি জাতির জন্য আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে উন্নতি লাভ করা। সেই সঙ্গে দেশের সব নাগরিকদের মধ্যে সুবিধাগুলো সমানভাবে ভাগের নিশ্চিত করা। আমরা যেভাবে অ্যাকান্টিবিলিটি ও সাসটেইনেবিলিটিতে কাজ করে এতে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব একটি বড় পরিবর্তন দেখেছে। সরকার থেকে শুরু করে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত, আমাদের কার্যক্রম আজকের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের মঙ্গলকে অনেক প্রভাবিত করবে।’
মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব বলতে একটি প্রতিষ্ঠান বা জাতির দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তৈরি করা অনুশীলনগুলোকে বোঝায় ও এর কার্যক্রমের পরিবেশগত, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক দিকগুলোকে পরিচালনা করে। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঠিক রেখে পরিবেশ ও মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে মুনাফা তৈরিতে কাজ করে। প্রতিবেদনে স্থায়িত্বের তথ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল অর্থনীতির দিকে উত্তরণে বিনিয়োগকারী, দাতা ও স্টেকহোল্ডারদের আকৃষ্ট করবে। সেই সঙ্গে স্টেকহোল্ডার ও বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি ইত্যাদির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে আস্থা তৈরি করবে ও দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, আইসিএবির কাউন্সিল মেম্বার এবং হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস-এর পার্টনার সাব্বির আহমেদ, আইসিএবি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুভাশিষ বোস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই অর্থ বিভাগের পরিচালক চৌধুরী লিয়াকত আলী৷
ঢাকা বিজনেস/এমএ/