কলা চাষে সুদিন এলো বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী, রামচন্দ্রপুর, বনগ্রাম ও হোগলাপাশা ইউনিয়নে কৃষকদের। তারা বলছেন, একবার কলার চারা রোপণ করে ২৪ মাসে ৩ বার ফলন পাওয়া যায়। খরচ কম। তাই লাভও বেশি। এই অঞ্চলের কলা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
কলা কিনতে এসেছেন ঢাকার কাওরানবাজার থেকে আনোয়ার পারভেজ। তিনি জানান, মোরেলগঞ্জের কলা খুবই সুস্বাদু। তাই ঢাকায় এই কলার ভালো চাহিদা রয়েছে। কাওরানবাজার মোকামে অনেক ফড়িয়া এসে মোরেলগঞ্জের কলার খোঁজ করেন। ঢাকায় মোরেলগঞ্জের কলা এখন ব্র্যান্ড। সপ্তাহে তিনি ৩/৪ ট্রাক কলা ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করেন।
কলাচাষি হামিদুল কাজী জানান, কলা চাষে তেমন কোনো রোগবালাই নেই। তবে ঝড় হলে কলাগাছ ভেঙে ক্ষতি হয়।
বনগ্রাম ইউনিয়নের চাষি আতাউর রহমান জানান, প্রথমদিকে গ্রামের মাঠের একবিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। ভালো লাভ হওয়ায় পরে দুই বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন। এরপর থেকে কলার আবাদ প্রতিবছরই করছেন।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের হিসাব মতে, গত মৌসুমে জেলায় কলা চাষ হয়েছে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ৭৫০ হেক্টর ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের প্রত্যাশা, আগামী মৌসুমে আরও বাড়বে।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী জানান, কলাচাষ লাভজনক। তাই মোরেলগঞ্জের চাষিরা চাষ করছেন। এসব কলার মধ্যে রয়েছে অনুপম, সাগর, সবরি, আনাজি, চিনিচাম্পা প্রভৃতি। সম্প্রতি কৃষি বিভাগ রান্না করে খাওয়ার জন্য উন্নত জাতের কাঁচকলার চারা সরবরাহ করেছে। এছাড়া, কলা চাষে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। পাশাপাশি একই জমিতে দুই অথবা তিন বছরের বেশি সময়ে কলার চাষ না করতে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘২ বছর কলার চাষের পরের বছরে অন্য কোনো সবজি চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। একবছর অন্য সবজি চাষের পর আবারও কলার চাষ করলে জমির ক্ষতি হবে না।’
ঢাকা বিজনেস/এনই/