উত্তর জনপদজুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের মানুষ। শীত উপেক্ষা করে কর্মস্থলে ছুটছেন কর্মজীবীরা। ট্রেনসহ সড়ক পথে যানবাহন চলাচল করলেও চলছে ধীরগতিতে। প্রতিটি ট্রেন চলছে বিলম্বে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। সন্ধ্যার পর আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ছিন্নমূলসহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ছিন্নমূল রাহেলা বেগম বলেন, খুব ঠাণ্ডা। তার সঙ্গে ঘন কুয়াশা বাইরে বের হওয়া যাচ্ছে না। গরম কাপড় নেই। এবার সরকারিভাবে কোনো শীতবস্ত্র পাইনি। চরম কষ্টে আছি।
মাঠপাড়া গ্রামের মো. রহিমুদ্দিন বলেন, শীতে খুব কষ্টে আছি। বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। আমরা কর্মহীন মানুষ। তাই জীবিকার সন্ধানে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।
ট্রাক চালক মো. বাদশা মিয়া বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গাড়ির গতি বাড়ানো যাচ্ছে না। ধীরগতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তাই গন্তব্যে যেতে বিলম্ব হবে।
হিলি রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন মো. সুজন মিয়া। তিনি বলেন, রাজশাহী যাবো। সকাল সোয়া ৮টা বরেন্দ্র ট্রেন আসার কথা। ৮টা থেকে অপেক্ষা করছি। এখন সাড়ে ৯টা বাজে। ট্রেনের কোনো খবর নেই। স্টেশন মাষ্টার সংকেত দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ট্রেন ঢুকছে না।
হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আজ শুক্রবার বরেন্দ্র ট্রেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট বিলম্বে এসেছে। ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন ধীরগতিতে চলছে। সেজন্য ট্রেন আসতে বিলম্ব হচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ-আলম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, এ পর্যন্ত যে পরিমাণ শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে। সেসব ৩টি ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১৫০০ শীতবস্ত্রের চাহিদা জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাওয়া গেলে পৌর এলাকাসহ সব শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
আনোয়ার/এম