বাংলা সনে এখন চলছে বর্ষাকাল। আকাশজুড়ে ঘন কালো মেঘ ও ঝুমবৃষ্টি থাকার কথা থাকলেও নেই বৃষ্টিপাত। প্রতিবছরই চুয়াডাঙ্গা জেলায় গড় বৃষ্টিপাতের পরিমান কমছে। বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টিপাত না থাকায় তাপদাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন। মাঝে মধ্যে মেঘের দেখা মিললেও বৃষ্টি হচ্ছে না। এমন বিরুপ আবহাওয়ায় আর পেরে উঠছে না জনজীবন।
সোমবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জামিনুর রহমান বলেন, 'চুয়াডাঙ্গায় চলতি বর্ষা মৌসুমে বেশ কয়েকদিন তাপপ্রবাহ অতিবাহিত হয়েছে। গত দুদিন ধরেও মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। সোমবার দুপুর ১২ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৬১ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও বেড়ে বিকাল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৪ শতাংশ। এছাড়া রবিবার (৩০ জুলাই) এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল দশমিক ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।'
জামিনুর রহমান আরও বলেন, 'মৌসুমী বায়ুর নিষ্ক্রিয়তার কারণে এই তাপপ্রবাহ চলছে। আগামী দু-একদিনের ভিতরে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব বাড়বে। এতে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেলে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে।'
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ৫ বছরে বর্ষার মৌসুমে (জুন ও জুলাই মাসে) এ জেলায় সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। চলতি বছর জুন মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৫৬ মিলিমিটার ও জুলাই মাসে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১১৪ মিলিমিটার। ২০২২ সালে এই দু মাসে এই জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ২৭০ মিলিমিটার। ২০২১ সালে এই দু মাসে এ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৯৭ মিলিমিটার। ২০২০ সালে এই দু মাসে এই জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৭৮৪ মিলিমিটার। ২০১৯ সালে এই দু মাসে এ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৩১ মিলিমিটার। ২০১৮ সালে এই দু মাসে এ জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল ৫৮৫ মিলিমিটার।
ঢাকা বিজনেস/মিজান/এন/