২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



হিলিতে কদর বেড়েছে মোজা-কানটুপির

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০২ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৯:০১ এএম
হিলিতে কদর বেড়েছে মোজা-কানটুপির


গেলো কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে কদর বেড়েছে হাত মোজা, পায়ের মোজা ও কানটুপির। ক্রেতারা জানান, প্রতিবছরই শীত মৌসুমে ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা পেতে মোজা ও কানটুপির প্রয়োজন দেখা দেয়। তাই তারা কিনছেন রাস্তার পাশে বসা দোকান থেকে স্বল্পমূল্যের মোজা ও কানটুপি। আর বিক্রেতারা বলছেন, আমরা ফেরি করে বিভিন্ন হাটেবাজারে খোলা জায়গায় বসে বিক্রি করি এসব। হিলির হাটবারের দিন বিকালে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়। 

মোজা কিনতে আসা আবু জাফর জানান, তিনি অটো ভ্যান চালক। সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলে হাতে প্রচণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে। তাই তিনি হাত মোজা কিনছেন। মার্কেটে ১০০ টাকার নিচে হাত মোজা পাওয়া যায় না। আর এখান থেকে ৪০ টাকা দিয়ে কিনলেন। বাড়তি টাকা দিয়ে অন্যকিছু কিনতে পারবেন তিনি। 

বাইক চালক রহিম উদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে রাতে বাইক চলাানো সময় হেলমেটের ফাঁক দিয়ে বাতাস ঢোকে। হেলমেটের নিচে কানটুপি পরলে আর বাতাস ঢুকতে পারবে না। আমি ৮০ টাকা দিয়ে একটি কানটুপি কিনেছি। 

সাইকেল চালক মো. শুকুর আলী বলেন, আমি সাইকেলে করে প্রতিদিন হিলিতে সবজি নিয়ে আসি। কিন্তু ঠাণ্ডার কারণে সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরে রাখা দায় হয়ে পড়ে। এছাড়া পায়েও প্রচণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে। তাই হাত ও পায়ের মোজা কিনতে এসেছি। 

তিনি আরও বলেন, এই মোজাই বাজারের দোকানে কিনতে গেলে ২০০ টাকা হবে। আর এখানে ৬০ টাকা দিয়ে পায়ের ও ৪০ টাকা দিয়ে হাতের মোজা কিনলাম। আমরা স্বল্প আয়ের মানুষ, এই কম দামের মোজা দিয়েই চলে যাবে। শীতের পরতো আর প্রয়োজন হবে না। 

মোজা ও কানটুপি বিক্রেতা মো. সুজন মিয়া ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‌আমার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে। গোবিন্দগঞ্জে হাতের মোজা, পায়ের মোজাসহ কানটুপি তৈরির পল্লী আছে। সেখানে নারী-পুরুষ এসব তৈরি করেন। আমি তাদের কাছ থেকে কিনে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ফেরি করে হাটবাজারে বসে বিক্রি করি। বেচাকেনাও ভালো হয়।

 ঢাকা বিজনেস/এম 



আরো পড়ুন