২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



১৭ মণের 'লাল চান' নজর কেড়েছে সবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি || ১২ জুন, ২০২৩, ০৪:৩৬ এএম
১৭ মণের 'লাল চান' নজর কেড়েছে সবার


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলাবাসীর নজর কেড়েছে ১৭ মণ ওজনের ষাঁড় 'লাল চান'। এই ষাঁড়টির মালিক উপজেলা শ্রীরামপুর ইউনিয়নে দরিশ্রীরামপুর গ্রামের সুমি আক্তার। এই ব্রাহামা-সিন্ধি সংকর জাতের সাড়ে ৩ বছর বয়সী ষাঁড়টি লালন পালন করছেন সুমি। এবার ঈদে তিনি এই ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে চান।

 লাল চানকে দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভিড় করেন খামারি সুমি আক্তারের বাড়িতে। কয়েকজন ক্রেতা এই ষাঁড়টি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করলেও এখন পর্যন্ত কোন দাম হাঁকাননি বলে জানিয়েছেন এই খামারি। সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতা ও ৮ ফুট লম্বা এই ষাঁড়টির ওজন ১৭ মণ। ষাঁড়টি শান্ত স্বভাবের হওয়ায় খামারি সুমি আক্তার এর নাম দিয়েছে ‘লাল চান’।


কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুসি, ডালের গুড়া, খড়, চিটাগুর খাইয়ে প্রাকৃতিকভাবে ষাঁড়টিকে লালন-পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন খামারি সুমি আক্তার। তিনি বলেন, 'এই ষাঁড়টি সাড়ে ৩ বছর আগে আমার খামারে জন্ম নেয়। এখন প্রতিদিন লাল চানের পেছনে আমার ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হচ্ছে। আমি লাল চানের দাম সাড়ে ৯ লাখ টাকা হাঁকছি। আশা করছি, বাড়িতে রেখেই লাল চানকে বিক্রি করতে পারব।' 

সুমির প্রতিবেশি আকবর মিয়া বলেন, 'নবীনগর উপজেলায় এত বড় গরু আর কখনো দেখা যায়নি। আমাদের জানা মতে, নবীনগর উপজেলার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় গরু। সুমি আক্তার অনেক যত্ন সহকারে এই গরুটি লালন-পালন করেছেন।' 

সুমির স্বামী ফালু মিয়া বলেন, 'গত ১৪ মাসে লাল চানের পেছনে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। আশা করছি ষাঁড়টি ৯-১০ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো। ক্রেতা আসছে, তবে দাম বেশি হওয়ায় কেউ নিতে চাচ্ছে না। আশা করি কোরবানি আগে বিক্রি করা সম্ভব হবে।' 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামীম আহমেদ বলেন, 'নবীনগরের মধ্যে অন্যতম বড় গরু এটি। খামারি এই গরুটিকে ন্যায্য দামে বিক্রি করে লাভবান হলে আগামীতে অনেকেই তাকে দেখে ভালো জাতের ষাঁড় পালনে আগ্রহী হবে।'

ঢাকা বিজনেস/এ/এন



আরো পড়ুন