২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার



বাস্তবে রূপ নিয়েছে স্বপ্নের তিস্তা সেতু

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা || ১০ জুন, ২০২৩, ০৯:৩৬ এএম
বাস্তবে রূপ নিয়েছে স্বপ্নের তিস্তা সেতু


উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন তিস্তা নদীর ওপর দিয়ে সেতু হবে। সেতু হয়েছে, বাস্তবে রূপ নিয়েছে স্বপ্ন। ইতোমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত এগিয়ে চলছে বাকি কাজগুলো।

 এলজিইডি সূত্র জানায়, এই সেতুটি ঘিরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার একসেস সড়ক উন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট সড়কে ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, মাটির কাজ এবং জমি অধিগ্রহণসহ গোটা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা। ৩১ স্প্যানবিশিষ্ট মূল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় দুই পাশে নদী শাসনের কাজ, এবাটমেন্ট নির্মাণ, ৩০টি পিলার ও ১৫৫টি গার্ডার স্থাপন কাজ করা হচ্ছে। 

আরও জানা যায়, সৌদি সরকারের অর্থায়নে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর খেয়াঘাট এলাকায় ১ হাজার ৪৯০ মিটার (প্রায় দেড় কিলোমিটার) দীর্ঘ ও ৯.৬ মিটার প্রস্থ এই সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। দুই পাশে ১ কিলোমিটার করে অ্যাপ্রোচ সড়কসহ মূল সেতুটি নির্মাণে ব্যয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৬৭ কোটি ৯৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

সেতু পয়েন্ট থেকে বেলকা বাজার হয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদর, পাঁচপীর বাজার এবং পাঁচপীর বাজার থেকে ধর্মপুর হয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার হাটলক্ষীপুর বাজার থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহর হয়ে ধাপেরহাট গিয়ে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে সংযোগ। সুন্দরগঞ্জের শোভাগঞ্জ বাজার থেকে পাঁচপীর বাজার পয়েন্ট, মাঠেরহাট থেকে বড়ুয়াহাট ওয়াপদা বাঁধ, মাঠেরহাট থেকে সদর উপজেলার কামারজানি বন্দর সড়কের উন্নয়ন কাজ। এসব সড়ক ১৮ মিটার প্রশস্ত করা হচ্ছে। এজন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এই সড়কগুলোতে নতুন করে ৫৮টি বক্স কালভার্ট এবং ৯টি আরসিসি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ৯৬ মিটার দীর্ঘ একটি, ৪৮ মিটার দীর্ঘ দুটি, ২০ মিটার দীর্ঘ দুটি, ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি এবং ১২ মিটার দীর্ঘ ৩টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে।

সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে কুড়িগ্রামের চিলমারী, উলিপুরসহ ৫টি উপজেলা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাদুল্লাপুর ও সদর উপজেলার লাখ লাখ মানুষের রাজধানীসহ পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণাঞ্চলে যাতায়াত এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি পণ্য এবং অন্যান্য সামগ্রী সরাসরি বাজারজাতের দ্বার উন্মোচিত হবে। 

এ বিষয়ে এলজিইডির গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম বলেন, ‌‘তিস্তা সেতুসহ গোটা প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। পাইলিং কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। মূল সেতুর ৩০টি পিলারসহ ক্যাপ স্থাপন, ১৫৫টি গার্ডারের মধ্যে ৭৫টির সংযোজন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলোরও কাজ চলছে। এদিকে ৩১টি স্প্যানের মধ্যে ১৪টি স্প্যান স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।’  

জাকির/এইচ



আরো পড়ুন