গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর শহরের বাসিন্দা নাজমা সিদ্দিকা (৪০)। এই শহরে রয়েছে তার পাঁচতলা বাড়ি। আর বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাগান। ইতোমধ্যে শাক-সবজি ও ফল-ফুলে ভরে গেছে বাগানটি। বাহারি রঙে সেজে উঠেছে পুরো ছাদ। দেখে মনে হবে এক দর্শণীয় স্থান। এমনি এক দৃষ্টিনন্দন বাগান করে মুখে হাসি ফুটেছে নাজমার।
গাইবান্ধার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নজেল হোসেনের স্ত্রী নাজমা সিদ্দিকা। পেশায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তিনি। তার নিজের বাসার ছাদে গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাগান।
সম্প্রতি ওই বাড়ির ছাদজুড়ে দেখা গেছে বাহারি বৃক্ষের সমারোহ। এখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি, মসলা ও ফলমূল। এসময় পরিচর্যায় ব্যস্ত ছিলেন নাজমা সিদ্দিকা। বিভিন্ন টবের মাধ্যমে ও অন্যান্য পদ্ধততি এই বাগানে লাগানো হয়েছে- মরিচ, টমেটো, পুঁইশাক, চালকুমড়া, আম, মাল্টা, লিচু, ড্রাগন লেবু ও নানা শোভাবর্ধন ফুলসহ প্রায় ২০০ প্রকার গাছ।
পলাশবাড়ী পৌর শহরের বাসিন্দারা জানান, নাজমা সিদ্দিকা তার চাকরির পাশাপাশি বেশি সময় দেন ছাদ বাগানে। এ বাগানের পরিচর্যাসহ উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনই তার নেশায় পরিণত হয়েছে। এ থেকে উৎপাদিত সবজি দিয়েই পরিবারের খাদ্য চাহিদা পূরণ করেন তিনি। ইতোমধ্যে তার ছাদবাগান দেখে আরও অনেকে উৎসাহিত হয়ে উঠছেন।
স্থানীয় ছামছুন্নাহার বেগম নামের এক গৃহবধূ বলেন, 'নাজমা সিদ্দিকা ছাদবাগান করেছেন, এটি খুবই প্রশসংনীয়। তার বাসার ছাদে উঠলেই প্রকৃতি যেন হাতছানি দিয়ে ডাকে। বাগানের প্রতিটি গাছই ফল ও ফুলে ভরে গেছে। ছাদজুড়ে মনোরম পরিবেশ মূহুর্তেই যেন মন হারিয়ে যায় দূর অজানায়।'
এই বিষয়ে নাজমা সিদ্দিকা জানান, গত ২০০৪ সালে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হিসাবে যোগ দেন। এরপর থেকে ইচ্ছা ছিল নিজের ভবনে ছাদ বাগান করার। এরপর ২০১৯ সালে নিজের ভবন হওয়ায় শখের বসে ছাদ বাগানটি গড়ে তুলেছেন। এই ছাদবাগান থেকে পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও বাজারজাত করা সম্ভব।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, ' মাঠে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন নাজমা। পাশাপাশি শখের বসে ছাদবাগান করে অনেকটা সফল তিনি।
ঢাকা বিজনেস/জাকির/এন/