২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস জনজীবনে

তানভীর আহমেদ, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) || ০৬ জুন, ২০২৩, ০৮:৩৬ এএম
অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস জনজীবনে


টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জনজীবন।  স্থানীয়রা বলছেন, তীব্র গরমে ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না। একদিকে তীব্র গরম, অন্যদিকে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

এদিকে, দেশের ওপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে, তা আরও পাঁচ-ছয় দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে।  

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ বার, আবার কোনো কোনো এলাকায় ৮ থেকে ১০ বার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করছে। কোনো কোনো এলাকায় টানা ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। এতে কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন কাজে চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছে, বিদ্যুৎ না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। বেচাকেনার সময়ও বিদ্যুৎ না থাকায় অলস সময় পার করতে বাধ্য হচ্ছেন। পিক আওয়ারে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্রেতারা আসছেন না, কমে গেছে বেচা-কেনা।

তাহিরপুর সদরের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাইরে তো গরমের জন্য এক ঘণ্টাও থাকা যায় না। বাসায়ও গরমে নাজেহাল অবস্থা। মাথার ওপর ফ্যান ঘোরে, কিন্তু সেই বাতাসও গরম। দিনের বেলা ট্যাপ থেকে যেন ফুটন্ত পানি বের হয়। একটু বৃষ্টি যে কবে নামবে, সেই অপেক্ষায় আছি।’

নাজমুল হাসান নামক এক ব্যক্তি বলেন, ‘সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৮-১০ বার বিদ্যুৎ যায়। প্রতিবার দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং থাকে। রাতের অবস্থা আরও ভয়াবহ। গরমে বাচ্চারা ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।’

তাহিরপুর সাব-জোনাল অফিসের এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) ইকরাম হোসেন জনি বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের বাধ্য হয়েই লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন