নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘মেরিটাইম সেক্টরে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এর ফলে আমাদের রিজার্ভের সিংহভাগ আসবে মেরিটাইম সেক্টর থেকে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নৌ স্থাপত্য ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ বিরাট ভূমিকা রাখবে এবং সুনীল অর্থনীতির পথ দেখাবে।’
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে নৌ-স্থাপত্য এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘মেরিন টেকনোলজি বিষয়ক (MARTEC ২০২২) ১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের’ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছেন। আমাদের পতাকাবাহী জাহাজ ছিল ৬১টি। সেখান থেকে ৯২টিতে উন্নীত হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে মানসম্পন্ন অনেক শিপইয়ার্ড আছে। সেখানে উন্নতমানের জাহাজ তৈরি হয়। জাহাজ নির্মাণের জন্য বৃটিশ সরকার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তারা আমাদের দেশের সঙ্গে মেরিটাইম সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
শিমুলিয়াতে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নগরবাড়ী, বাঘাবাড়ী ও নোয়াপাড়া নৌবন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে নৌপথে পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। রাস্তার ওপর চাপ কমবে। প্রধানমন্ত্রী মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। চট্টগাম ও মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ চলছে। সেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাব হবে।’
৩৭টি অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তারপুর, খানপুরে ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো নির্মিত হচ্ছে। মুক্তারপুরকে বাংলাদেশ-ভারতের পোর্ট অব কল ঘোষণা করা হয়েছে। পানগাঁওয়ে ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সাজিদুল বারী, টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ড. মাসুদ করিম এবং ড. শহীদুল ইসলাম।
ঢাকা বিজনেস/এম