২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



ইসির প্রাথমিক বাছাই তালিকায় ১২ নতুন রাজনৈতিক দল

স্টাফ রিপোর্টার || ১১ এপ্রিল, ২০২৩, ১২:৩৪ পিএম
ইসির প্রাথমিক বাছাই তালিকায়  ১২ নতুন রাজনৈতিক দল


নিবন্ধন-প্রত্যাশী ১২টি নতুন রাজনৈতিক দলের কাগজপত্র নির্বাচন কমিশন ঠিক পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি জানান, প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে এসব দলের কাগজপত্র ঠিক পাওয়া গেলেও এখন দলের মাঠপর্যায়ের অফিসের খোঁজ নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এই তথ্য জানান।

ইসি সচিব জানান, প্রাথমিক বাছাইয়ে যে ১২ দল টিকেছে, সেগুলো হলো, এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি-(বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি)।

ইসি সচিব বলেন, কমিশনের অনানুষ্ঠানিক সভা হয়েছে। এতে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন করে নিবন্ধন পেতে ৯৩ দল আবেদন করেছিল। এই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করার জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করেছে। তিনি বলেন, ৯৩ আবেদনের মধ্যে ১৪টি নির্দিষ্ট ফরমেটে ছিল না। দু’টি আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ১৬টি আবেদন বাতিল হয়ে যায়। অবশিষ্ট ৭৭টির মধ্যে আমরা তাদের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেছিলাম। ১৯টি দল ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে পারেনি।

ইসি সচিব আরও বলেন,  আমাদের পাঠানো চিঠি দুই দলের ঠিকানা ঠিক না থাকায় ফেরত এসেছে। ১০টি দল সময় আবেদন করেছিল। সে আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। এভাবে ৩১টি আবেদন পরবর্তী সময়ে বাতিল হয়। সবশেষে থাকে ৪৬টি আবেদন। এই ৪৬টি আবেদন যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে নীতিমালা আইন এবং প্রয়োজনীয় তথ্যের সঙ্গে তারা যা দিয়েছে, তা পূরণ না হওয়ায় ৩৪টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এখন ১২টি দল যে তথ্য দিয়েছে তা মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাই করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। এরপর কমিশন তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত দেবে।

সচিব বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর কয়টা দল নিবন্ধন পাবে, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না। এখন উপজেলা পর্যায়ে ২০০ ভোটারের সমর্থন থাকা প্রয়োজন। এখন সেটা যাচাই করা হবে। এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস আছে কি না, সেই রিপোর্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

প্রসঙ্গত,  গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী তিনটি শর্তের যে কোনো একটি শর্ত পূরণ করলে সেই রাজনৈতিক দলটি নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে। শর্ত তিনটি হলো - ১. বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে অনুষ্ঠিত যেকোনো সংসদ নির্বাচনের যেকোনো একটিতে দলীয় প্রতীকে একটি আসন পেতে হবে। ২. কোনো সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচনি এলাকায় মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫ শতাংশ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৩. দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ একটি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দেশের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ জেলায় ও অন্তত ১০০টি উপজেলায় বা মেট্রোপলিটন থানায় কার্যালয় থাকতে হবে। প্রতিটি উপজেলায় দলের সদস্য হিসাবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত থাকতে হবে।

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন