২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার



জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী: বিশেষ অধিবেশন বসছে কাল

স্টাফ রিপোর্টার || ০৫ এপ্রিল, ২০২৩, ০৬:৩৪ এএম
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী: বিশেষ অধিবেশন বসছে কাল


আগামী ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয়। জাতির পিতা ছিলেন প্রথম সংসদের সংসদ নেতা। এদিকে, জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল ৬ এপ্রিল বেলা ১১টায় স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অধিবেশন বসবে। 

বিশেষ অধিবেশনটি হবে চলতি একাদশ সংসদের ২২তম এবং চলতি বছরের দ্বিতীয় অধিবেশন। এর আগে গত ৫ জানুয়ারি চলতি বছরের প্রথম তথা ২১তম অধিবেশন শুরু হয়ে শেষ হয় ৯ ফেব্রুয়ারি। ওই অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ২৬টি। যেখানে ১৯টি বিল উত্থাপিত হয়। এর মধ্যে বিল পাস হয় ১০টি। এছাড়া একটি অধ্যাদেশও উত্থাপিত হয়।

এদিকে, জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছিল ঢাকার তেজগাঁওয়ে তৎকালীন জাতীয় সংসদ ভবনে। সেই হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আগামী ৭ এপ্রিল অর্ধশত বছর পূর্ণ করছে। 

১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংখ্যা ছিল ১৫টি। অর্থাৎ, প্রথম জাতীয় সংসদে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৫। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় তেজগাঁওয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল। প্রথম জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন মুহম্মদুল্লাহ এবং ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন বয়তুল্লাহ। পরে মুহম্মদুল্লাহ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে আবদুল মালেক উকিল স্পিকার নির্বাচিত হন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৭ এপ্রিল বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। বিশেষ অধিবেশনে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের যাত্রা থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত ঐতিহাসিক বিভিন্ন অর্জন তুলে ধরা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হবে। সংসদ সদস্যরা বিশেষ অধিবেশনে সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা করবেন।

বিশেষ অধিবেশনটি কত দিন চলবে তা নির্ধারিত হবে সংসদের কার্যোপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে। বিশেষ এই অধিবেশনে সংসদের ৫০ বছর পূর্তির বিষয় ছাড়া অন্য কোনো কর্মসূচি রাখা হচ্ছে না। জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কয়েকজন বিদেশি অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে পরিবর্তিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদেশি অতিথিদের কেউ আসছেন না।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবন পৃথিবীর দৃষ্টিনন্দন আইনসভা ভবনের একটি। রাজধানী ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার আয়তন ২১৫ একর। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্থপতি লুই আই কান। সংসদ ভবন এলাকাকে প্রধান ভবন, দক্ষিণ প্লাজা ও প্রেসিডেন্সিয়াল প্লাজা এই তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। সংসদের পেছন দিকে ক্রিসেন্ট লেক নামে একটি নান্দনিক জলাধার রয়েছে। সংসদের মূল ভবনের পাশাপাশি রয়েছে উন্মুক্ত সবুজ পরিসর, মনোরম জলাধার ও সংসদ সদস্যদের কার্যালয়।

১৯৬১ সালে ৯ তলা এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি এ ভবনের উদ্বোধন করা হয়। 

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন