২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



ক্যাম্পাস
প্রিন্ট

যে কারণে ইবির নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম স্থগিত

ইবি প্রতিনিধি || ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
যে কারণে ইবির নিয়োগ বোর্ডের কার্যক্রম স্থগিত


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অনুষ্ঠিতব্য তিনটি পদের নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ডের কার্যক্রম অনিবার্য কারণ দেখিয়ে স্থগিত করা হয়েছে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের সঙ্গে এক চাকরি প্রত্যাশীর ‘নিয়োগ বাণিজ্য’ সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার তিন দিনের মাথায় এমন একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

অফিস আদেশে বলা হয়, আগামী ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ‘মেডিক্যাল অফিসার পদ’, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ‘প্রভাষক পদ’ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ‘সহকারী অধ্যাপক পদ’-এর জন্য নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। 

আদেশে আরও উল্লেখ্য করা হয়, এই পদগুলোর নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি দুটি ভিন্ন ফেসবুক আইডি থেকে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে এক চাকরি প্রত্যাশীর অডিও প্রকাশ করা হয়। অডিওতে তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক অলিউর রহমানকে টাকা দিয়ে হলেও প্রার্থী যোগার করে পরীক্ষায় বসতে বলেন। নির্দিষ্ট সংখ্যার ক্যান্ডিডেট না থাকায় পরীক্ষার বোর্ড বসাতে পারছেন না বলে জানান তিনি ওই অডিও ক্লিপে। 

এ ছাড়া আরেকটি অডিও ক্লিপে তিনি অলিকে পরীক্ষার প্রশ্ন সংক্রান্ত ধারণা দেন। অডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরদিনই ব্যাখ্যা চেয়ে বিবৃতিও দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনগুলো। ভিসি কার্যালয়ে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় অস্থায়ী চাকরিজীবিদের।

এ বিষয়ে ইবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘হ্যাঁ অডিও ক্লিপটা আমার কিন্তু এখানে অন্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’ 

প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন তো আমরা করি পরীক্ষার দিন সকালে। সেক্ষেত্রে এখন পরীক্ষাই হয়নি, তাই এর কোনো ভিত্তি নেই।’ 

শিক্ষকদের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের প্রতিবাদলিপি (বিজ্ঞপ্তি) দেখিওনাই পড়িওনাই। কাউকে আবেদন করতে বললেই কি চাকরি দিয়ে দিলাম?’ 

অডিওটি কারা ভাইরাল করতে পারে, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি তো কারো পক্ষের না। সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারবো না। কাজটা যারা করেছে, আমি তাদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন করি। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ অনুযোগ নেই।’

ইমন/এম



আরো পড়ুন