২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



হলুদ সরিষায় দুলছে সোনালি স্বপ্ন

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৫:০২ পিএম
হলুদ সরিষায় দুলছে সোনালি স্বপ্ন


দিনাজপুরের হিলিতে চলতি মৌসুমে সরিষা ইতোমধ্যে কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা। তারা বলছেন, এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। এখন  ভালো দামের আশায় দিন গুনছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, কৃষকেরা আগ্রহী হয়ে ওঠায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। 

হিলি উপজেলার বানিয়াল গ্রামের কৃষক মো. আফতাব হোসেন বলেন, ‘আমি ১৫ কাঠা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।  মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে সরিষা কাটা শুরু করেছি। নিজের জমিতে নিজেই বীজ ছিটানো, পানি দেওয়া, ওষুষ দেওয়া থেকে শুরু করে কাটা, সবই নিজে করেছি। এতে আমার ১৫ কাঠা জমিতে খরচ পড়েছে ৩ হাজার টাকা। আশা করছি, ৬ থেকে ৮ মণ সরিষা পেতে পাবো।’ 



মুহাড়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘এরআগে আমন ধান কাটার পর জমি অনাবাদি পড়ে থাকতো। এবার সবার দেখাদেখি আমিও ২ বিঘা জমিতে বারি-১৭ ও বারি-১৮ জাতের সরিষা চাষ করেছি। ইতোমধ্যে  সরিষা কেটে বাড়িতে তুলেছি। শুকানোর পর মেশিন দিয়ে মাড়াই করবো। তবে আমি শ্রমিক দিয়ে সরিষা চাষ করায় খরচ একটু বেশি পড়েছে। বিঘাপ্রতি ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা খরচ পড়তে পারে। ফলন মোটামোটি ভালো হয়েছে। এখন দেখা যাক, দাম কেমন পাওয়া যায়।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. মমতাজ সুলতানা ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৩টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু কৃষকের আগ্রহের কারণে ২ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে আছে, বারি-১৪, বারি-১৭ ও বারি- ১৮ জাতের সরিষা।’

ড. মমতাজ সুলতানা আরও বলেন, ‘এবার হাকিমপুর উপজেলায় সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬২৮ মেট্রিক টন। আশা করছি, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষা উৎপাদন হবে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সরিষা আবাদের উৎসাহিত করতে সার,বীজ, কীটনাশক সরবরাহসহ সবধরনের সহায়তা করছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/




আরো পড়ুন