টাঙ্গাইলে শীতের শেষ মুহূর্তেও বাড়ছে ঠাণ্ডা ও ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে হাসপাতালে অনেক রোগীর ঠাঁই হচ্ছে মেঝেতে। আবার অনেককেই হাসপাতালের বাইরে ও গাছতলায় বসে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। বিছানা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে যারা চিকিৎসার নিতে বাধ্য হচ্ছেন তার বড় সংখ্যা, নিম্ন আয়ের মানুষ। কাঙ্ক্ষিত সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ না পাওয়ার অভিযোগ রোগীদের। কর্তৃপক্ষের দাবি অতিরিক্ত চাপ সামলাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরে টাঙ্গাইলে শীতের তীব্রতা কমলেও প্রকট আকার ধারণ করেছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ। বিশেষ করে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশ বেড়েছে। এতে টাঙ্গাইলে জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে অতিরিক্ত রোগীর চাপ। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ আসনের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৬৬ জন। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। এছাড়াও শিশু ওয়ার্ড ১৩ আসনের বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ৪৩ জন।
সরেজমিনে শুক্রবার দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ডের রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সিট না পেয়ে মেঝেতে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ হাসপাতালের মেঝেতেও জায়গা না পেয়ে বাইরে নিয়ে শিশুদের কোলে করে স্বজনরা সেলাইন দিচ্ছেন। আবার অনেকেই গাছতলায় বসে ও শিশুদের সেলাইন দিতে দেখা যায়।
রোগীর পরিবার ও স্বজনরা বলেন, সিট না পেয়ে মেঝেতে ও বাইরে বসে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই বাজে। ডাক্তার ঠিক মত আসে না। সরকারি হাসপাতাল হয়েও বেশির ভাগ ওধুষ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়ার দাবি তাদের।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর মা বলেন, ছেলের ডায়রিয়া হলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আছি। কিন্ত হাসপাতালে কোথাও জায়গা না হওয়ায় গাছের নিচে বসে ছেলেকে সেলাইন দিতেছি। হাসপাতালের পরিবেশ খুবই বাজে।
আরেক রোগীর মা বলেন, হাসপাতালে ভিতরে খুবই নোংরা পরিবেশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমনকি অভিকৃত রোগীরাও আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা কর্র্তৃপক্ষের কাছে ভালো পরিবেশের দাবি করছি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সাদিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডারোগীর প্রকোপ বেড়েছে অনেক। চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে আমাদের রোগীদের সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আমরা যথাযথ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।