২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার
গাজায় যুদ্ধবিরতির তীব্র দাবির মধ্যেই ইসরায়েলের কাছে ১৬৪.৬ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এদিন মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মার্কিন ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি জানিয়েছে, এই সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চালান ২০২৭ সালে শুরু হবে বলে কংগ্রেসকে অবহিত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শক্তশালী রাখা এবং আত্মরক্ষা সক্ষমতা বিকাশ ও বজায় রাখতে ইসরায়েলকে সহায়তা করা মার্কিন জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যাবশ্যক। এই প্রস্তাবিত বিক্রয় সেই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট গত মাসে ইসরায়েলের কাছে ২০ বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরও তা অব্যাহত রেখেছে মার্কিন প্রশাসন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজায় ৪১ হাজার এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘নির্বিচার’ বলে বর্ণনা করেছেন
বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং সাবেক স্টেট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখ করে ইসরায়েলে অস্ত্র স্থানান্তর স্থগিত করার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে অনুরোধ করে আসছে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী। তেল আবিবের অস্ত্র আমদানির ৭০ ভাগের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে। মার্কিন তৈরি অস্ত্র দিয়ে গাজায় বেশ কয়েকটি হামলায় প্রমাণ রয়েছে, যার ফলে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যদিও মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
