ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিতহের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। আহত হয়েছেন প্রায় দেড়শ। হামলায় হাসপাতাল ভবন ও আশপাশের স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়ার সেনারা।
এতে দেশটির সবচেয়ে বড় শিশু হাসপাতাল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। হতাহত হয়েছে অনেক শিশু। বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে হামলার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য কর্মীরা। পরে যোগ দেন স্থানীয় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা। সরিয়ে নেয়া হয় অন্য শিশুদের।
রাজধানী কিয়েভই নয়, এদিন দিনিপ্রো, ক্রিভি রিহ, স্লোভিয়ানস্ক শহরে অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকা সুমিতে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রেও বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলার পর বিদ্যুৎ পুনরায় চালুর জন্য কাজ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে, বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ন্যাটো শীর্ষ সমম্মেলেনর জন্য ওয়াশিংটনে যাওয়ার আগে পোল্যান্ডে যাত্রা বিরতি করেন। সেখানে সোমবার তিনি বলেন, রাশিয়ার এই হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
যদিও রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার স্থান থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহতরে সংখ্যা ৪১ জনে পৌঁছেছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লেখা জেলেনস্কি বলেন,
শিশুদের হাসপাতাল এবং কিয়েভের একটি মাতৃত্বকেন্দ্র, শিশুদের নার্সারি এবং একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র এবং বাড়িসহ ১০০টিরও বেশি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ সন্ত্রাসীদের অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে। শুধু উদ্বিগ্ন হলেই সন্ত্রাস বন্ধ হবে না। সমবেদনা কোনো অস্ত্র নয়।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্রিভি রিহ এবং দিনিপ্রো ও দুটি পূর্বাঞ্চলীয় শহরেও ক্ষতি হয়েছে।
রাশিয়ান এমন ভয়াবহ হামলার মঙ্গলবার ইউক্রেনে শোক দিবস ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। দেশটি বলছে, ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে জরুরিভাবে তাদের বিমান প্রতিরক্ষার আপগ্রেড প্রয়োজন।