দিনাজপুরের হিলিতে রমজান মাসের শেষের দিকে এসে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। সেই সঙ্গে বেড়েছে ডাবের দামও। স্থায়ী বিক্রেতা ছাড়াও ভ্যানে করে ফেরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। ১৫০ টাকা জোড়া দামের ডাব এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। ক্রেতারা বলছেন, রোজার শেষের দিকে চৈত্র মাসে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। ইফতারিতে তারা ডাবের পানি পান করেন। তবে দাম অনেক বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, রমজান বলে নয়, চৈত্র মাসে এমনিতেই ডাবের চাহিদা বাড়ে। এবারও তাই হয়েছে।
বুধবার হিলি চেকপোস্ট গেটে কথা হয় টগর মল্লিকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে ভ্যানে করে দুই জন ডাব বিক্রি করেন। তাই ডাব কিনতে এসেছি। ইফতারিতে ডাবের পানি খবো। তবে ডাবের দাম তুলনামুলক অনেক বেশি। রোজার আগে একজোড়া ডাব কিনতাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। রোজার মাসে কিনতে হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। তারপরও মানুষ কিনছে।’
আরেক ক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, ‘কী আর বলবো, আমাদের দেশের কথা। অন্যদেশে রমজান মাসে দ্রব্যমুল্যের দাম কমে । আর আমাদের দেশে বাড়ে।’ তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘কোন জিনিসটার দাম বাড়েনি? চাল, ডাল, ছোলা এমনকি গো-খাদ্য ভূসির দামও বড়েছে। তাই ডাবের দাম বাড়বে, এটাই তো স্বাভাবিক। দাম বেশি হওয়ার কারণে দুটি ডাব কিনতে এসে ১টি নিয়ে বাড়ি ফিরছি।’
ডাব বিক্রেতা মো. আব্দুল আওয়াল ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘দাম চাইলেই ক্রেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ১৪০ টাকা জোড়ার ডাব, এখন একপিসের দামই ১০০ টাকা । কিন্তু আমরা কী করবো বলেন। আমাদের তো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে হয়। কিনতে যদি দাম বেশি পড়ে, আমাদের কী করার আছে? বিক্রেতারা তো লাভের আশায় ডাব বিক্রি করেন। এখন প্রতিজোড়া ডাব কিনতেই দাম পড়ছে ১৮০ টাকা, বিক্রি করছি ২০০ টাকায়।’