মেহেদি হাসান মিরাজের লড়াকু ব্যাটিংয়ের পরও চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শ্রীলংকার কাছে ১৯২ রানে হারলো স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট ৩২৮ রানে হেরেছিল টাইগাররা। এর ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলো শ্রীলংকা। এই নিয়ে ষষ্ঠবার বাংলাদেশকে দুই বা তিন ম্যাচের দ্বিপাক্ষীক সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করলো শ্রীলংকা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে বাংলাদেশকে দুই ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা দিয়েছিল লংকানরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশের। টেস্ট জিততে ম্যাচের শেষ দিন বাকি ৩ উইকেটে আরও ২৪৩ রান দরকার ছিল টাইগারদের। মেহেদি হাসান মিরাজ ৪৪ ও তাইজুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। গতকাল ২৪৩ রানে সপ্তম উইকেট পতনের পর জুটি বেঁধে ম্যাচটি পঞ্চম দিনে নেন মিরাজ ও তাইজুল।
বুধবার (৩ এপ্রিল) দিনের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মিরাজ। তার হাফ-সেঞ্চুরি অর্জনের ঐ ওভারের পঞ্চম বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিসের শিকার হন ২টি চারে ১৪ রান করা তাইজুল। মিরাজের সাথে অষ্টম উইকেটে ৩৮ রান যোগ করেন তাইজুল।
এরপর হাসান মাহমুদকে নিয়ে দলের রান ৩শ পার করেন মিরাজ। দলীয় ৩১২ রানে পেসার লাহিরু কুমারার বাউন্সার সামলাতে না পেরে সিলি মিড অনে নিশান মাদুশকাকে ক্যাচ দেন ২৫ বলে ৬ রান করা হাসান।
হাসানের পর বাংলাদেশের শেষ ব্যাটার খালেদ আহমেদকে ২ রানে বোল্ড করে শ্রীলংকার জয় নিশ্চিত করেন কুমারা। ৩১৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এদিন সোয়া এক ঘণ্টা ব্যাটিং করে ১৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৫০ রান যোগ করে টাইগাররা। ১৪টি চারে ১১০ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।
কুমারা ৫০ রানে ৪টি, কামিন্দু ৩ ও জয়সুরিয়া ২ উইকেট নেন। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন শ্রীলংকার কামিন্দু।
এই হারে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে অষ্টম স্থানে নেমে গেলো বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে ২৫ শতাংশ পয়েন্ট আছে টাইগারদের। এই টেস্ট জয়ে ৪ ম্যাচে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে উঠলো শ্রীলংকা।
টেস্টের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে শ্রীলংকা এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।