২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



হিলিতে বেড়েছে শাকের চাহিদা, দামও কম

আনোয়ার হোসেন বুলু, হিলি (দিনাজপুর) || ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:৩১ এএম
হিলিতে বেড়েছে  শাকের চাহিদা, দামও কম


দিনাজপুরের হিলিতে বেড়েছে শীতকালীন শাক-সবজির চাহিদা। এরমধ্যে পালং শাক, বতাশাকের চাহিদাই বেশি। এছাড়া আছে লাউশাক, ছিটকিনি শাকসহ অন্যান্য শাক। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য সবজির পাশাপাশি শাক খাওয়া ভালো। তাই তারা অন্যান্য তরকারির সঙ্গে শাক কিনছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, এই শীত মৌসুমে কিছু শাক পাওয়া যায়। যার গরমের সময় পাওয়া যায় না। তাই ক্রেতাদের এসব শাকের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। 

কথা হয়, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী মো. আব্দুস সামাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আলু, বেগুনসহ অন্যান্য কাঁচা সবজি তো সবসময় পাওয়া যায়। কিন্তু এখন বাজারে যেসব শাক পাওয়া যাচ্ছে, অন্য সময় সেগুলো পাওয়া যাবে না। তাই বাজারে এসেছি পালং শাক কিনতে। প্রতি মুঠো পালংশাক কিনলাম ৫ টাকা করে। প্রায় শাকের দাম একই রকম।’

আরেক শাকক্রেতা মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘নিয়মিত শাক খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। শাক অন্য পুষ্টিরও জোগান দেয়। এসব শাক তো আর গরমের সময় পাওয়া যাবে না। তাই বাজারে এসেছি বতা শাক কিনতে। প্রতি মুঠো বতাশাক বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা করে। তবে আমাকে ২০ টাকা দিয়ে ৫ মুঠো দিয়েছে।’

আশিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনকার ছেলে-মেয়েরা তো শাক খেতেই চায় না। তাই আমরা যারা পরিবারের বড় সদস্য, তাদের জন্যই শাক কেনা।’

হিলি বাজারের শাকবিক্রেতা মো. শফি উদ্দিন শাফি বলেন, ‘আমি শুধু শাকই বিক্রি করি। আমরা দোকানে পালং শাক, পুঁইশাক, ডাটাশাক, লাউশাক আছে। এই শীতের সময় এসব শাক বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া অন্য সময় এসব শাক তো আর পাওয়া যায় না। তখন যেসব শাক পাওয়া যায় তাই বিক্রি করি।’

শাফি আরও বলেন, ‘আমার পুঁজি কম। অন্যান্য সবজি কেনার মতো সার্মথ্য নেই। তাই কম পুঁজিতে শাক কিনে বিক্রি করি। প্রতি মুঠো শাকে ১ টাকা থেকে দেড় টাকা লাভ থাকে। আবার অনেক সময় বিক্রি না হলে পচে নষ্ট হয়ে যায়। শাক বিক্রি করেই আমি সংসার চালাই।’  

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন