২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ জয়

ক্রীড়া ডেস্ক || ১০ নভেম্বর, ২০২৩, ১০:৪১ এএম
পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ জয়


বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাফল্যে যোগ হলো আরেকটি মুকুট। পর পর দুই সিরিজে পাকিস্তানকে হারালো তারা। চট্টগ্রামে ২-১ এ টি টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর আজ শুক্রবার (১০ নভেম্বর, ২০২৩) তারা ওয়ানডে সিরিজও জিতল একই ব্যবধানে। শক্তিশালী পাকিস্তানকে হারিয়ে অনেক চাঙ্গা বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।  

ওয়ানডে সিরিজে ১-১ এ সমতায় সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামে দুই দল। মিরপুরে শুক্রবার সকালে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন নিদা দার। প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তুলেছিল ৯ উইকেটে ১৬৬ রান। জবাবে বাংলাদেশ জিতে যায় ৭ উইকেটে। 

১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো সূচনা করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে রেকর্ড ১২৫ রান। সেসময় আউট হন ওপেনার ফারজানা হক পিংকি। ১১৩ বলে তিনি ৬২ রান করেন। তবে সমস্যা হলো ইনিংস বড় না করে নিজের কাজ শেষ হয়েছে মনে করে অনেকটা ফটফট বা তাড়াহুড়ো করতে থাকেন উদ্বোধনী দুই ব্যাটার। ক্রিকেটে যা হয় তাই হলো, পিংকির পর মুর্শিদাও ফিরে আসেন প্যাভিলিয়নে; তিনি করেন ৫৪ রান (১০৬ বল)। দলীয় ১২৮ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। পরের বলে শূন্য রানে ফিরে যান ফাহিমা, কাটা পড়েন রান আউটে। কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় বাংলাদেশ। 

ক্রিজে যাওয়া নতুন দুই ব্যাটার সুবহানা মুস্তারি এবং নিগার সুলতানা জ্যোতি অবশ্য খুব ভালোভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে থাকেন। উইকেট ধরে রেখে নিয়মিত রান তুলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। ৪৫.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। জ্যোতি ১৮ এবং সুবহানা ১৯ রানে থাকেন অপরাজিত। অতিরিক্বত থেকে আসে ১৪ রান। অনেকটা সহজেই জিতে যায় বাংলাদেশ। 

পাকিস্তানের পক্ষে নাশরা সান্ধু ২ উইকেট নেন। আরেকটি ছিল রান আউট। 


এবারের সফরে প্রথম ওয়ানডেতে জিতেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে জয় পায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে উভয় দলই করেছিল ১৬৯ রান। ম্যাচ টাই হয়েছিল। সুপার ওভারে পাকিস্তান করেছিল ২ উইকেটে ৭, বাংলাদেশ করেছিল ১ উইকেটে ১০ রান। ১০ নভেম্বর সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা আয়ত্বের মধ্যেই আটকে রাখেন পাকিস্তানকে। 

এর আগে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালোই ছিল। ইনিংসের অর্ধেক পর্যন্ত তারা বেশ স্বচ্ছন্দেই এগোচ্ছিল। পরের অংশে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে তারা বেশিদূর এগোতে পারেনি। অবশ্য একজনের প্রসংশা না করলেই নয়, ব্যাট ক্যারি করেছেন পাকিস্তানী ওপেনার সিদরা আমিন। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৮৪ (১৪৩ বল) রানে অপরাজিত ছিলেন। তাকে আউট করা গেলে আরো আগেই গুটিয়ে যেত পাকিস্তান। আরেক ওপেনার সাদাফ শামস করেন ৩১ রান (৬১)। এছাড়া দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন আর মাত্র দুইজন। মুনিবা আলী করেছেন ১৪, দিয়ানা বেগ করেছেন ১১ রান। 

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে নাহিদা আক্তার নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুই উইকেট পেয়েছেন রাবেয়া খাতুন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন ফাহিমা, নিশি এবং স্বর্না। মারুফা ভালো বল করলেও কোনো উইকেট পাননি। 

সিরিজ জয়ের পাশাপশি  সিরিজে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বাংলাদেশের ফারজানা হক পিংকি ও প্লেয়ার অব দ্য সিরিজ হয়েছেন নাহিদা আক্তার। 

উল্লেখ্য, চলতি সফরে এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথম দুটিতে বাংলাদেশ জিতলেও শেষ ম্যাচে জয় পায় পাকিস্তান। আর ওয়ানডেতে প্রথম ম্যাচ জিতলেও শেষ দুটিতে হারে সফরকারীরা। 

চলমান ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশীপ (২০২২-২০২৫) এর অংশ। সুতরাং এই সিরিজটি জয়ে র‌্যাংকিংয়ে ‍সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে ৯ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে। প্রথম ৬ টি দল ২০২৫ নারী বিশ্বকাপে এরইমধ্যে কোয়ালিফাই করেছে। 

ঢাকা বিজনেস/এমএ/



আরো পড়ুন