লন্ডনে সফররত তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাজ্যের মিনিস্টার অব স্টেট ফর মিডিয়া, ট্যুরিজম অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ স্যার জন হুইটিংডেল। বৈঠকে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধসহ গণমাধ্যম বিষয়ক সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন। লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে এই বৈঠকে বসেন তারা।
বৈঠকে জন হুইটিংডেল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়ানো ও অপপ্রচার মোকাবিলায় যুক্তরাজ্যের কর্মপদ্ধতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টে গত মে মাসে আইন পাস হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ার সার্ভিস প্রোভাইডারদের সে দেশে নিবন্ধিত হতে হবে।
হাছান মাহমুদ এই সময় বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে এখনো এই আইন নেই। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোকে নিবন্ধিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন করার জন্য বারবার আহ্বান জানানোর পরও এখন পর্যন্ত তারা নিবন্ধন করেনি। সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে ফেক নিউজ ও গুজব ছড়ানো প্রতিহত করার ক্ষেত্রে একটি বড় অন্তরায়।
এ সময় দুই মন্ত্রী বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, নিউ মিডিয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ দু'দেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন।
এই দিন বিকেলে তথ্যমন্ত্রী লন্ডনের কার্লটন ক্লাবে ‘কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়া’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক লর্ড রামি রেঞ্জারের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম দুটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা বিজনেস/এন