পর্যটক রাজধানী কক্সবাজার এখন প্রায় পর্যটক শূন্য। এবার সমুদ্র সৈকতও বর্ষায় অন্য এক রূপ জানান দিচ্ছে। ঈদুল আজহার ছুটিতে বর্ষার সৌন্দর্য দেখতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে কক্সবাজার। এই ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটক বরণে প্রস্তুত পর্যটন নগরী। স্বাগত জানাতে হোটেল-মোটেল ও মার্কেটগুলোর প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে প্রস্তুত ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা।
প্রতিবছর ঈদের আগে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে থাকলেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইতোমধ্যে ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলে রুম বুকিং হয়েছে মাত্র ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। তবে ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকদের সমাগম বাড়তে পারে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সৈকত এলাকার ৪০টির বেশি গেস্টহাউস, কটেজ, হোটেল-রিসোর্টে পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। বর্তমানে কোনো হোটেলে অতিথি না থাকলেও ঈদের পর দিন থেকে পর্যটকের সমাগম হবে আশা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‘আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ প্রান্তে। এবার ঈদে আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসে পর্যটকদের আকৃষ্ঠ করতে ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তারকা মানের হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাদিব চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের হোটেলের ৩০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটক টানতে আমরা বিশেষ ছাড়ও দিচ্ছি।’
রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক টুটুল বলেন, ‘পর্যটক টানতে আমরা দেশি খাবারের পাশাপাশি বিদেশি আইটেম বাড়িয়েছি।’
এদিকে বর্ষা মৌসুমে উত্তাল সাগরের কথা মাথায় রেখে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের ৩টি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য প্রস্তুত লাইফগার্ড কর্মীরাও।
সি-সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ভুট্টু বলেন, ‘কক্সবাজারে কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গপোসাগরে সৃষ্টি হাওয়া লঘু চাপের কারণে সাগর উত্তাল। তারপর সবকিছু মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। সমুদ্র সৈকতে যে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে, সেখানে আমাদের ওয়াচ টাওয়ারে পর্যবেক্ষণ বাড়ানো হবে।’
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, ‘ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তায় আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। সৈকত এলাকায় শতাধিক পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ছিনতাই প্রতিরোধে টহল পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। কন্ট্রোল রুম, পর্যবেক্ষণ টাওয়াসহ পুরো সৈকতে পুলিশের নজরদারি থাকবে।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ