২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার



তথ্যমন্ত্রী
প্রিন্ট

আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ১৬ জুন, ২০২৩, ১০:৩৬ এএম
আমরা চাই বিএনপি পূর্ণশক্তিতে নির্বাচনে অংশ নিক: তথ্যমন্ত্রী


বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানালেন  তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশ নিক। কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ার ছুঁতো তৈরি করতে চায়।’ শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

‘সরকার  বিএনপিকে মাঠ ছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে, মামলা-গ্রেপ্তার করছে’ বিএনপি মহাসচিবের  এমন ব ক্তব্য নাকচ করে দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন যেন সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ  স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেটিই আমরা চাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি সবসময় নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার ছুঁতো তৈরি করতেই এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন করা নয়, নির্বাচন ভণ্ডুল করা। কারণ, বিএনপির বক্তব্যে মনে হয়, তারা নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়, সেটি পেলে অংশ নেবে, নচেৎ নয়। কিন্তু এ গ্যারান্টি তো জনগণ বা সরকার বা নির্বাচন কমিশন কেউই দিতে পারবে না। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ যে ব্যাপকভাবে অংশ নেয়, সেটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে।’

বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে, রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে যারা রাজনীতিক করে না, রাজনীতিক বোঝে না, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েছিল, সেইসব জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা, এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। জনগণ চায় এর বিচার হোক। আপনারা জানেন, যারা অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার, তারা সারা বাংলাদেশে মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন করে অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা-অর্থদাতাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে গণমাধ্যম অত্যন্ত স্বাধীনভাবে কাজ করে।  গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ১০টি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারে ছিল, এখন ৩৮টি, সাড়ে চারশ' দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন সাড়ে বারো শ। বেসরকারি রেডিও ছিলই না। এখন অনেকগুলো এফএম আর কমিউনিটি রেডিও। হাতেগোনা কয়েকটি অনলাইন ছিল, এখন কয়েক হাজার। এভাবে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। আর ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই।’ 

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন