খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের উদ্যোগে কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসব করা হয়েছে। শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে এ উৎসব উদ্বোধন করা হয়, চলে দিনব্যাপী। এরপর আলোচন সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনাস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ইন্দ্রজিৎ সাগর, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সোনালী সেন ও বিশ্বাস প্রোপার্টিজের চেয়ারম্যান আজগর বিশ্বাস তারা।
খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর টিএম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খান আহমেদুল কবীর চাইনিজ। এসময় কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সমীর রঞ্জন সরকারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিরা বলেন, পিঠা বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এই পিঠা উৎসব আমরা হারাতে বসেছিলাম। করোনার সময় এসকল অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। করোনার প্রকোপ কমায় এ বছর পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশে শীত আর পিঠা একে অপরের পরিপূরক। শীত এলে গ্রামের পাশাপাশি শহরের মানুষের প্রধান আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নেয় পিঠা উৎসব।
অতিথিরা আরও বলেন, পিঠা উৎসব ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষে একটি অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব। এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পিঠা উৎসবের কৃষ্টিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
পরে অতিথিরা পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রায় ৩৫টি স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের দিনব্যাপী পিঠা উৎসব। আর সেসব স্টলে প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়েছে প্রায় ২০০ রকমের পিঠা।
তুরান/এইচ