জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেলো গোপালগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী ব্রোঞ্জের গহনা। এটি জেলার দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে জি.আই স্বীকৃতি অর্জন করেছে। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) এই তথ্য জানিয়েছেন।
কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভৌগোলিক নির্দেশক (জি.আই) পণ্য হিসেবে গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গহনা নিবন্ধনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর কর্তৃক জার্নালে প্রকাশ করা হয়।
এই স্বীকৃতির ফলে জেলার মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড়ের ব্রোঞ্জের গহনার ঐতিহ্যকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া ব্রোঞ্জের গহনা তৈরির সাথে সম্পৃক্ত কারিগরদের কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলেও আমরা বিশ্বাস করি। ব্রোঞ্জ শিল্পভিত্তিক অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। এলাকার আর্থসামজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।’
জেলা প্রশাসক আরও জানান, চলতি বছরের ১২ মার্চ জলিরপাড়ের ব্রোঞ্জের গহনার জিআই পণ্যের স্বীকৃতি চেয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে আবেদন করা হয়। এরআগে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা জেলার প্রথম পণ্য হিসেবে জি.আই স্বীকৃতি লাভ করেছিল।
ব্রোঞ্জ গহনা প্রস্তুত কারক জলিরপাড় গ্রামের জগদীশ শীল বলেন, ‘ব্রোঞ্জ গহনা তৈরির তামা, দস্তা ও পিতলের দাম বেড়েছে। সহজ প্রাপ্যতা কমেছে। ভারতসহ অন্যান্য দেশের ব্রোঞ্জ গহনার রঙ খুব চকচকে। আমাদের গহনার রঙ তাদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। সুদৃশ্য, মনোহর ও সৌখিন দামি গহনার বাজার ভারত ও চীনের দখলে চলে গেছে। তাই কানের দুল, হাতের বয়লাসহ যেসব গহনার চাহিদা রয়েছে এমন সব গহনা আমরা তৈরি করি। সরকার এ শিল্পকে অধুনিকায়ন, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সবধরণের সহযোগিতা করলে আমরা ব্রোঞ্জ গহনার শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারব। এখানে এখানো মান সম্পন্ন কারিগর রয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সমন্বয়ে তাদের কাজে লাগিয়ে আমরাও দামি গহনা তৈরি করতে পারি। এতে শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়ীরা আরও বেশি উপার্জন করতে পারবেন। এ শিল্প দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ ও গতিশীল করবে।’ সূত্র: বাসস