সাত দিনব্যাপী ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিনি এই মেলার উদ্বোধন করেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মেলায় তিন শতাধিক উদ্যোক্তা অংশ নেন। মেলায় প্রায় ৬০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তা। এসএমই মেলায় ১০০ শতাংশ দেশীয় পণ্য প্রদর্শন করা হবে। এবারের মেলায় সাড়ে ৩ শতাধিক কোম্পানি অংশ নেবে।
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে বেশ কিছু ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের হাতে ক্রেস্ট ও অ্যাক্রিডিটেশন সার্টিফিকেটসহ জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ হস্তান্তর করেন।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. মোঃ মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন । পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে স্বপ্না রানী সেন জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ জেতার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এবারের মেলায় পোশাক খাতের সবচেয়ে বেশি ৭৫ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া ৪২ টি প্রতিষ্ঠান পাটজাত পণ্য, ৩৮ টি প্রতিষ্ঠান হস্তশিল্প, ৩২ টি প্রতিষ্ঠান চামড়াজাত পণ্য এবং ২৭ টি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য প্রদর্শন করবে।
এছাড়া ২৩টি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ১৪টি খাদ্য পণ্য, ১৩টি আইটি-ভিত্তিক পরিষেবা, ১২টি এসএমই ক্লাস্টার উদ্যোক্তা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মেলায় অংশ নেবে, ৫টি ভেষজ শিল্পের পণ্য এবং ৫টি প্রতিষ্ঠান গয়না পণ্য প্রদর্শন করবে।
চারটি স্টলে প্লাস্টিক পণ্য, ৩টি ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সেক্টর, ৩টি আসবাবপত্র এবং ১৯টি বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করবে। এছাড়া ৩০টি ব্যাংক, ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ক্লাব এবং প্রায় ৫০টি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণকারীদের সেবা প্রদান করবে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ও চট্টগ্রামের এসএমই বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারগুলো তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করবে। উইন্ডি টাউন হলে সহজ অর্থায়ন, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, প্রযুক্তি, আইসিটি এবং ক্লাস্টার উন্নয়ন বিষয়ে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।