রোজার মাসে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি, ঈদের আগের দিন বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি। আর রোববার (১৪ এপ্রিল) সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা করে।
ক্রেতারা বলছেন, আমরা তো ভেবেছিলাম রমজান মাসেই হয়তো পেঁয়াজের দাম বাড়বে। কিন্তু ঘটলো উল্টোটা। রমজান মাসে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও ঈদের পর বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর বিক্রেতারা বলছেন, কৃষকেরা ঘরে পেঁয়াজের মজুদ দিনদিন কমে আসছে। একারণে কৃষকেরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় কম পরিমানে পেঁয়াজ বাজারে আনছেন। তাই বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। বাড়ছে দাম।
রোববার (১৪ মার্চ) হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন মো. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘যে-সময় পেঁয়াজের দাম বাড়ার কথা ছিল, তখন বাড়লো না। আর এখন বাড়লো।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নিশ্চয় এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তাছাড়া পেঁয়াজের দাম একলাফে কেজিতে ২০ টাকা বাড়তো না।’ তিনি প্রশাসনের প্রতি বাজার মনিটরিং করার দাবি জানান ।
আরেক ক্রেতা মো. হেছাব আলী বলেন, ‘ঈদের একদিন আগেও প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। আর আজ কিনলাম ৬০ টাকা কেজি দরে। ৪ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এতে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের খুব সমস্যা হচ্ছে।’
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. জাহিদ হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘কৃষকেরা কম পরিমাণে পেঁয়াজ বাজারে আনছেন। তাই দাম বেড়েছে। এছাড়া কৃষকেরা ঘরে পেঁয়াজের মজুতও দিনদিন কমে আসছে।’
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে-আসবে, এমন খবরে কৃষকেরা পুরোদমে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ তারাও পেঁয়াজ বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেই পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকায় নেমে আসবে পারে।’
ঢাকা বিজনেস/এনএইচ/