কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই নিজেদের হারিয়ে খুঁজে ফিরছে ব্রাজিল। আসছে জুনেই যুক্তরাষ্ট্রে বসছে কোপা আমেরিকার আসর। তার আগেই সেরা ছন্দে ফিরতে মরিয়া ব্রাজিল মাঠে নামছে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে। নতুন কোচ দরিভাল জুনিয়র প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ফর্মের তুঙ্গে থাকা ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি হওয়ার আগে ইনজুরির কারণে সেরা দল পাচ্ছেন না দরিভাল জুনিয়র। ইংল্যান্ড দলেও আছে ইনজুরি সমস্যা।
শনিবার (২৩ মার্চ) ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ১৯৬৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। প্রীতিম্যাচ হলেও হাই ভোল্টেজ এই ম্যাচ নিয়ে সমর্থকদের উত্তেজনা তুঙ্গে। তবে দুই দলই ইনজুরিতে হারিয়েছে দলের সেরা তারকাকে। ব্রাজিল মাঠে নামছে নেইমার জুনিয়রকে ছাড়া। ইংল্যান্ড দলেও নেই হ্যারি কেন। ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন তিনি।
ইনজুরির কারণে ব্রাজিল দলে নেই ক্যাসেমিরো, দুই সেরা গোলরক্ষক অ্যালিসন ও এডারসন, মার্কুইনিয়োস, এডার মিলিতাও, গ্যাব্রিয়েল ম্যাগেলহাসসহ বেশ কয়েকজন। ইংল্যান্ডও হারিয়েছে বুকায়ো সাকাকে।
পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা সাম্প্রতিক সময়ে ভুগলেও পরিসংখ্যানে ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে। দুই দলের লড়াইয়ে ১১ বার জয় পেয়েছে ব্রাজিল। অন্যদিকে ইংল্যান্ড জয় পেয়েছে মাত্র ৪ ম্যাচে। এছাড়া ৪টি ম্যাচ সমতায় শেষ হয়েছে।
ইংল্যান্ড ব্রাজিলকে সবশেষ হারিয়েছিল এক দশকেরও বেশি সময় আগে। ২০১৩ সালে এক প্রীতি ম্যাচে ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলের জয় এনে দেন, যা ছিল ২৩ বছরে ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের প্রথম জয়।
আজকের ম্যাচে ব্রাজিলের গোলবার সামলাচ্ছেন অ্যাতলেটিকো পারানেন্সের বেনতো। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে তার সামনে থাকছেন দুই সেন্টার ব্যাক লুকাস বেরালদো ও ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো। তাদের দুই পাশে দুই ফুল ব্যাক ওয়েন্ডেল ও দানিলো। মিডফিল্ডে ব্রুনো গুইমিরেসের সঙ্গে থাকছেন লুকাস পাকেতা ও জোয়াও গোমেস। আক্রমণভাগে স্ট্রাইকার হিসেবে থাকছেন রিয়াল মাদ্রিদের রদ্রিগো। তার দুই পাশে থাকছেন রিয়ালের উইঙ্গার ভিনিসিউস ও বার্সেলোনার রাফিনিয়া।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের আস্থা ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। গোলবারের নিচে থাকছেন জর্ডান পিকফোর্ড। তার সামনে দুই সেন্টার ব্যাক জন স্টোন্স ও হ্যারি ম্যাগুয়ের। তাদের দুই পাশে দুই ফুলব্যাক কাইল ওয়াকার ও বেন চিওয়েল। মিডফিল্ডে ডাবল পিভোটে ডেক্লান রাইস ও কনর গ্যালাঘার। তাদের সামনে ফিল ফোডেন ও অ্যান্থনি গর্ডন ওয়াইড মিডফিল্ডারের ভূমিকায়, নম্বর টেনের ভূমিকায় জুড বেলিংহ্যাম। সবার সামনে স্ট্রাইকার হিসেবে ওলে ওয়াটকিন্স।
ব্রাজিল একাদশ: বেনতো; ওয়েন্ডেল, লুকাস বেরালদো, ফ্যাব্রিসিও ব্রুনো, দানিলো; লুকাস পাকেতা, ব্রুনো গুইমিরেস, জোয়াও গোমেস; ভিনিসিউস জুনিয়র, রদ্রিগো, রাফিনিয়া।
ইংল্যান্ড একাদশ: জর্ডান পিকফোর্ড; কাইল ওয়াকার, জন স্টোন্স, হ্যারি ম্যাগুয়ের, বেন চিওয়েল; ডেক্লান রাইস, কনর গ্যালাঘার, ফিল ফোডেন, জুড বেলিংহ্যাম, অ্যান্থনি গর্ডন; ওলে ওয়াটকিন্স।