দিনাজপুরের হিলিতে পানপাতার ভালো ফলন হয়েছে। গেলো বছর শীতের কারণে ব্যাপক ক্ষতির হলেও এবছর পানপাতা বিক্রি করে চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তারা বলছেন, নিজেদের পানের বরজ থেকে পানপাতা তুলে হিলির হাটে প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার এবং বিরামপুর হাটে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার পানপাতা বিক্রি করেন। এই বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় তেমন বিপর্যয় দেখা দেয়নি।
উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের পানচাষী আব্দুল মাবুদ বলেন, ‘আমি এবার নিজের ৩ বিঘা জমিতে ৩টি বরজে পানপাতা চাষ করেছি। এ বছর শীতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এখন পর্যন্ত পানপাতার অবস্থা ভালো আছে। হিলির হাটে সপ্তাহে দু’দিন ৩টি বরজ থেকে ৬ হাজার টাকার পানপাতা বিক্রি করে থাকি।’
আব্দুল মাবুদ আরও বলেন, প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার টাকা পানপাতা বিক্রি করলেও শ্রমিক খরচ দিতে হয় ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। শ্রমিকদের সঙ্গে নিজেকেও শ্রম দিতে হয়।’
পানপাতা ক্রেতা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি পানের দোকান করি। প্রতিহাটে আমাকে ১ পোয়া (৪০ বিড়া) করে পান কিনতে হয়। কিন্তু বর্তমানের পানপাতার দাম খুব বেশি। প্রতিবার (৬৪ টি ) পানপাতা (বড় সাইজের) কিনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। অথচ কিছুদিন আগেই এই সাইজের পানপাতা কিনেছি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিড়া (৬৪) দরে।’
রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘৮০ থেকে ১০০ টাকা বিড়া দরের ছোট পানপাতাও আছে। কিন্তু যারা পানের দোকান করেন, তাদের ছোট পানপাতা দিয়ে দোকানদারি চলবে না। তাই আমাদের বাধ্য হয়েই বেশি দরে বড় সাইজের পানপাতাই কিনতে হচ্ছে।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. আরজেনা বেগম ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘এ বছর হাকিমপুর উপজেলার ১ পৌরসভাসহ ৩ ইউনিয়নে ৪০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। মোট পানপাতার বরজ রয়েছে ৩৫৫টি। উপজেলা কৃষি বিভাগ পানপাতাকে রোগ বালাইমুক্ত রাখতে পানচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো রোগ-বালাইয়ের খবর পাইনি।’