১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে চীনে কমেছে জনসংখ্যা। এই ধারা বেশ কয়েক বছর বজায় থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে দেশটির লোকসংখ্যা ১৪১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার ছিল, কিন্তু এক বছর আগে সংখ্যাটি ১৪১ কোটি ২৬ লাখ ছিল।
২০২১ সালে প্রতি হাজারে জন্মহার ছিল ৭ দশমিক ৫২, গত বছর তা কমে ৬ দশমিক ৭৭ এ নেমে এসেছে। দেশটির রেকর্ডে এটিই সর্বনিম্ন জন্মহার। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি প্রতিবেদন থেকে এতথ্য জানা যায়।
২০২২ সালে দেশটিতে জন্ম নিয়েছে ৯০ লাখ ৫৬ হাজর শিশু। আর একই সময় মারা গেছেন ১ কোটি ৪১ হাজার মানুষ।
সর্বশেষ চীনের জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই বছর মাও সে তুংয়ের বিপর্যয়কর কৃষি নীতি ‘গ্রেট লিপ ফরওয়ার্ডের’ কারণে দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল দেশটির মানুষ। এরপর দেশটিতে জনসংখ্যা বাড়তে থাকে। কিন্তু অধিক জনসংখ্যার ভয়ে ১৯৮০ সালে চীন বিতর্কিত ‘এক শিশু’ নীতি গ্রহণ করে। যার কারণে জনসংখ্যা অনেক বেশি হ্রাস পায়। ভুল উপলব্ধি করতে পেরে ২০১৬ সালে এই নীতি পরিহার করে দেশটি।
চীন গত বছর ১৯৭৬ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হারও রেকর্ড করেছে, ২০২২ সালে দেশটি প্রতি হাজারে ৭ দশমিক ৩৭ মৃত্যু তালিকাবদ্ধ করেছে; যেখানে ২০২১ সালে মৃত্যুর হার ছিল ৭ দশমিক ১৮।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত চীনে এক সন্তান নীতির কারণে জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে, এর পাশাপাশি পড়াশোনায় বেশি খরচও অনেক চীনা পরিবারকে এক সন্তানের বেশি না নিতে বাধ্য করেছে। আবার অনেকে কোনো সন্তানই নিচ্ছেন না।
করোনাকালীন টানা ৩ বছর ধরে জিরো-কোভিড নীতি বজায় থাকায় হঠাৎ করে তা তুলে নেওয়ায় চীনের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। এটিও জন্মহার হ্রাসে ভূমিকা রাখছে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকা বিজনেস/এম