সৌদি আরবের বিনিয়োগ বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কনসেশন চুক্তি’ আমাদের দুই দেশের যৌথ স্বপ্নের ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের প্রমাণ। এই চুক্তি বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বাড়াতে আরও সহায়ক হবে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহের উপস্থিতিতে সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও ‘আরএসজিটি’-র সিইও জিন্স ও ফোলি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরআগে সৌদি মন্ত্রী সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেহেতু আমরা এই ‘কনসেশন চুক্তি’ স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করছি, তাই আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের অপেক্ষায় আছি যেখানে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, আরএসজিটি আগামী ২২ বছরের জন্য পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করবে। এটি বিশেষকরে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল প্রকল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য একটি আশার আলো। স্বনির্ভর এই আধুনিক টার্মিনাল বন্দরের সক্ষমতা বাড়াবে, নিরবচ্ছিন্ন বাণিজ্য সহজ করবে ও কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি করবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এটি বিশ্ব বাণিজ্যের একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ করবে। আমাদের ব্যবসার জন্য বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। টার্মিনালটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। কারণ, ভারত, ভুটান ও নেপালও এই টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারবে।’
প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরবকে বন্ধুপ্রতীম দেশ ও বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের গভীর শ্রদ্ধা ও আস্থা রয়েছে। আমরা সবসময়ই সৌদি আরবকে আমাদের হৃদয়ের কাছাকাছি পেয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, আরএসজিটি সৌদি সরকার কর্তৃক মনোনীত একটি স্বনামধন্য গ্লোবাল টার্মিনাল অপারেটর।
তিনি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য টার্মিনাল অপারেটর নিয়োগের কারনে সৌদি সরকারকে তাঁর আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্বীকৃতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি জেদ্দা বন্দর এবং অন্যান্য টার্মিনাল পরিচালনার জন্য খ্যাতি অর্জনকারী আরএসজিটি পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালও তার দক্ষতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সঙ্গে পরিচালনা করবে।’