১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার



আমরাও চাঁদে যাবো: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা বিজনেস ডেস্ক || ০৭ অক্টোবর, ২০২৩, ০৬:৪০ এএম
আমরাও চাঁদে যাবো: প্রধানমন্ত্রী


দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্তি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাশের দেশ চাঁদে যায়। আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো? আমরাও চাঁদে যাবো।’ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১ টার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেরর তৃতীয় টার্মিনালের একাংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই স্বপ্নের কথা বলেন।  

প্রধানমন্ত্রী  বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানের কারণে একসময় বাংলাদেশই হবে সারা বিশ্বের যোগাযোগের হাব। কক্সবাজার বা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এটাই হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব। সেটাই আমরা বিশ্বাস করি। সেভাবেই আমরা তৈরি করতে চাচ্ছি।’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘গত ২৯ বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তারা দেশকে কিছু দিতে পারেনি। এদিক থেকে আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তুলতে কাজ করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশেষ করে গ্রামের মানুষের উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বিমান যোগাযোগ ও পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটন শিল্পকে আধুনিক করে তুলতে আমরা আরও কয়েকটি বিমান কিনবো। আমরা চাই অ্যাভিয়েশন খাত আরও উন্নত হোক।’

এর আগে সকাল ১০ টায় বিমানবন্দরের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।  প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে থার্ড টার্মিনাল ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন।

উদ্বোধনী আরও বক্তব্য রাখেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার ইয়োশিকাওয়া ইউমি।

বেবিচক সূত্রে জানা গেছে, থার্ড টার্মিনাল পূর্ণাঙ্গ চালুর পর শাহজালাল বিমানবন্দরের বার্ষিক যাত্রী হ্যান্ডলিং ক্ষমতা দাঁড়াবে দুই কোটি ৪০ লাখে, যা বর্তমানে মাত্র ৮০ লাখ। অর্থাৎ নতুন টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে যাত্রী হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বেড়ে হবে তিন গুণ। নতুন টার্মিনালের ৯০ শতাংশ কাজ সফট লঞ্চিংয়ের জন্য সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার থেকে এয়ারলাইন্সগুলো টার্মিনালের নতুন পার্কিং পে ব্যবহার করতে পারবে।

মোট পাঁচ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে থার্ড টার্মিনালটির ফ্লোর স্পেস দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। এতে রয়েছে ১৭৭টি চেক-ইন কাউন্টার, ৬৪টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন ডেস্ক ও ৬৪টি আগমন ইমিগ্রেশন ডেস্ক।

থার্ড টার্মিনালের ডাবল এন্ট্রি ব্রিজসহ ১২টি বোর্ডিং গেট আগামী বছরের মধ্যে চালু হবে। পরবর্তী ১৪টি বোর্ডিং ব্রিজ চালু হবে পরে। ৩৭টি নতুন এয়ারক্রাফট পার্কিং এরিয়া ও অ্যাপ্রোন এলাকায় সংযোগকারী দুটি ট্যাক্সিওয়ের নির্মাণকাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

থার্ড টার্মিনালটি একটি মাল্টিমোডাল পরিবহনব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যেন যাত্রীরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে সক্ষম হয়। নতুন টার্মিনালটি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ভূগর্ভস্থ রেলপথ (এমআরটি-৫, কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর অংশ) এবং একটি ভূগর্ভস্থ টানেলের মাধ্যমে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এ ছাড়া আশকোনা হজ ক্যাম্প থেকে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলের মাধ্যমে হজযাত্রীরা থার্ড টার্মিনালে যেতে পারবেন।

২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর। এর মধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। বাকি টাকা অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।

ঢাকা বিজনেস/এনই



আরো পড়ুন