প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি বন্দর দিয়ে ঈদের ছুটির আগের দিন ২৬ জুন ২৭ মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়। এরপর ৬ দিন বন্ধ থাকে আমদানি-রপ্তানি। এসময় প্রতিকেজি কাঁচামরিচের দাম উঠে ৫০০ টাকায়। ঈদের ছুটির পর সোমবার (৩ জুলাই) কাঁচামরিচ আমদানির কথা থাকলেও লোকসানের অজুহাতে আমদানি করা হয়নি। তবে আজ (মঙ্গলবার) প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকায়।
সোমবার ও মঙ্গলবার আমদানিকারক ও কাঁচামরিচ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ বিক্রেতা মোকারম হোসেন বলেন, ‘সোমবার (৩ জুলাই) আমি পাঁচবিবি থেকে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ পাইকারি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।’
মোকারম হোসেন আরও বলেন, ‘হিলি এলাকায় কাঁচামরিচের আবাদ না হওয়ায় আমরা জয়পুরহাট, বিরামপুর, পাঁচবিবির মোকামগুলো থেকে কিনে এনে হিলিতে বিক্রি করি। কাঁচা পণ্য যখন যে বাজার যায়, তার ওপর সব খরচ বাদ দিয়ে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি।’
এদিকে কয়েকজন আমদানিকারক বলেন, আজ (সোমবার) স্থানীয় বাজারে যে দামে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। আজ ভারত থেকে আমাদনি করলে লোকসান গুনতে হতো। তাই আমদানিকারকেরা কাঁচামরিচ আমদানি করেননি। যেহেতু ওপারে ট্রাকে লোড করা কাঁচামরিচগুলো ঈদের আগে বেশি দামে কেনা আছে।
তারা আরও বলেন, মঙ্গলবার (৪ জুলাই) থেকে ভারত থেকে নতুন দামে কাঁচামরিচ কিনে হয়তো আমদানিকারকরা আমদানি শুরু করবেন।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী মো. ইউসুফ আলী জানান, গেলো বছরের ২৪ আগস্ট থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ ছিল। গত রোববার (২৫ জুন) সরকার আবারও কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এর ফলে ২৬ জুন থেকেই হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়।
তিনি আরও বলেন, হিলিবন্দরের ১৩ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিক টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
পানামা হিলি পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে আজ হিলি বন্দর দিয়ে অনান্য পণ্য আমদানি হলেও সারাদিনে কোনো কাঁচামরিচ আমদানি হয়নি।’
ঢাকা বিজনেস/এইচ