বিক্রি হওয়ার অপেক্ষায়
দ্যাখো, উদ্যানের একপাশে বসে আছে
পরাক্রান্ত শক্তি
আধ-ভর্তি কোঁচা নিয়ে
বিক্রি হওয়ার জন্য
যেভাবে ছোটকালে হাফ প্যান্ট পরে
বসে থাকতাম আমি
রামচন্দ্রপুরের গরুহাটায়
বাঁহাত দিয়ে দড়িতে
বাড়ি থেকে হাঁটিয়ে আনা গরুর:
এই যে চাচা,
এদিকে আসেন! গরু আছে - তাজা গরু!
কেবল নগদ টাকাতেই নয়,
বিনিময়যোগত্যার আরো কত কি আছে না!
বস্ত্রহরণ
প্রতিদিনই ভোর হয়; প্রতিপ্রাতেই
পড়শিকে লেংটা করতে
গোবেলসের কারখানা থেকে
নিত্যনুতন ব্লোয়ার নিই আমি
আমার বন্ধুরা হাততালি দেয়:
ওই দ্যাখ--দ্যাখ! কী যে এক্সপার্ট!
কিন্তু হাওয়ারা বড্ড খামখেয়ালী
ডিগবাজি দিয়ে
কোনো কোনো দুপুরে আমার দিকে
ফিরে আসে;
ওপাশ থেকে অট্টহাসির শব্দে
উদ্ভ্রান্ত চোখ যাই নিজ নাভির নিচে!
বেতমিজ হাওয়া!
সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট
মৌলবাদ রাখে ভরে আঁধার খোয়াড়ে
সেবা নিয়ে খেতে দেয় স্বর্গীয় বচনে
পুঁজিবাদ বেচে তারে সেক্সের বাজারে
প্রগতি শপিং মলে নগ্ন প্রসাধনে।
অথচ বিভক্ত তারা এ-দলে ও-দলে
নিজেদের দল কই? কোনো প্রশ্ন নাই;
জীবনের ব্রত? সবি অন্যের দখলে;
বোঝে না সে শোষণের শিল্পকলাটাই।