১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার



টানা ৩ দিনের ছুটিতে সৈকতে মানুষের ভিড়

তাফহীমুল আনাম,কক্সবাজার || ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ০৪:০২ পিএম
টানা ৩ দিনের ছুটিতে সৈকতে মানুষের ভিড়


সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি বৌদ্ধ পূর্ণিমার বন্ধ থাকায় কক্সাবজার সমুদ্রসৈকতে ভিড় করেছেন লাখো পর্যটক। শীতকালীন ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকে পদভারে মুখরিত সৈকত।  

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দেখা গেছে, কলাতলী থেকে লাবণী পয়েন্ট পযর্ন্ত যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। সৈকতে নীল জলরাশিতে সমুদ্র স্নানে ব্যস্ত অনেকে । কেউ উষ্ণতার খুঁজে নামছেন নোনা জলে, কেউ ওয়াটার বাইকে, কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে, কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গে সেলফিতে মেতেছেন। যে যার যার মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।

সপ্তাহজুড়ে ব্যস্ততার পর নিজেদের প্রশান্তির জন্য কিংবা পাঠ্যপুস্তকের গণ্ডি পেরিয়ে বনভোজনে আসেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তেমনই একজন হলেন আলহাজ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুমিনুল আফ্রিদি। তিনি বলেন, ‘সৈকতে আমার প্রতি বছর শীতে আসি। জনবহুল নগরে থাকতে জীবনটা এক ধরনের যান্ত্রিক হয়ে ওঠে। তাই কোলাহলমুক্ত ও নির্মল প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে কক্সবাজার ছুটে আসি।’

ঢাকা থেকে আসা কলেজছাত্রী মদিনা আহমেদ অপ্সরা বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতে আমার প্রথমবার আসা । নিরিবিলি প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে এসেছি । রুম পেতে একটু কষ্ট হয়েছে। তবে সমুদ্রে নোনা জলে ৩ ঘণ্টা গোসল করে সব ভুলে গেছি।’

 

ঝিনুক মার্কেটের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্র-শনি দুই দিনে স্থানীয় ও দেশি-বিদেশি পর্যটক একটু বেশি থাকে। ইদানিং দেখা মিলছে সৈকতে বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা। পর্যটক বেশি থাকলে আমাদের ব্যবসাও ভালো। পুরো শীতজুড়ে আরও আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’ 

শীতে বিপুল পর্যটকদের সমুদ্র স্নান নিরাপদ করতে নজরদারি বাড়িয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীরা।

সিনিয়র লাইফগার্ড ভুট্টো মজুমদার বলেন, ‘শুক্র-শনি এই দুই দিনে সৈকতে পর্যটকের বেশ আনাগোনা দেখা যাচ্ছে । সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট থেকে লাবণী পয়েন্টে লোকে লোকারণ্য। পর্যটকদের সমুদ্রস্নান নিরাপদ রাখতে তিনটি পয়েন্টে লাইফ গার্ডের ৪০ জন কর্মী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছেন।  আমরা সর্বদা পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত।’

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকত ও আশপাশে পোশাকধারী পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সৈকতে বিচ বাইক নিয়েও রয়েছে টহল। তিনটি বেসরকারি লাইফ গার্ড সংস্থার অর্ধ শতাধিক প্রশিক্ষিত লাইফগার্ডকর্মী রয়েছেন। কন্ট্রোল রুম, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ পুরো সৈকতে পুলিশের নজরদারির আওতায় রয়েছে।’

ঢাকা বিজনেস/এনই/



আরো পড়ুন