দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে আলুর দাম। শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ছিল গেলো এক সপ্তাহ আগে খুচরা ৪০ টাকা কেজি। এতে খুশি সাধারণ ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, এখন আলুর ভরা মৌসুম চলছে। এসময় তো আলুর কেজি ২০ টাকা কেজিই থাকার কথা। কিন্তু কিছুদিন ধরে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বেশি মুনাফা লুটে নিয়েছে। তবে এখন দাম কিছুটা স্বাভাবিক পর্যায়ে এসেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমরা তো আর আলু আবাদ করি না। কৃষকদের কাছ থেকে বিক্রি করি। প্রথমদিকে নতুন আলু ৮০ টাকা কেজি বিক্রি করি। তার কিছুদিন পরে মানভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিও বিক্রি করেছি। বর্তমানে বাজারে পুরোমাত্রাই সরবরাহ হওয়ায় দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে।
শনিবার হিলিবাজারে আলু কিনতে আসা মো. মজিবর রহমান বলেন, আলু প্রতিটি পরিবারের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাপণ্য। গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রতিকেজি আলু ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে কিনেছি। আর আজ কিনলাম ২০ টাকা কেজি দরে। এতদিন ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মুনাফা লুটে নিয়েছেন।
আরেক ক্রেতা মো. ফজলুর রহমান বলেন, বাজারে যখন নতুন আলু আসে, তখন তো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেও ৪০ টাকা কেজি দরে কিনি। আজ প্রতিকেজি আলুর দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। আজ শনিবার ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মো. আবু রায়হান ঢাকা বিজনেসকে বলেন, কোনো নতুন কৃষিজাত পণ্য বাজারে উঠলে দাম একটু চড়া থাকে। ধীর ধীরে সরবরাহ বাড়লে দামও কমতে থাকে।
আবু রায়হান আরও বলেন, এই নতুন আলু যখন প্রথম বাজারে আসে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। পরে সরবরাহ বাড়ায় ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে নেমে আসে। বর্তমানে পর্যন্ত সরবরাহের কারনে প্রতিকেজি আলু বিক্রি করছি মানভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি।