২২ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে অর্থদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে কাঠগড়ায় ১৫ আসামি উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. রুহুল আমিন, মো. হাসান আলী বুলু, মো. সোহেল, স্বপন, ইব্রাহীম খলিল, আবুল হোসেন আবু , মো. সালাউদ্দিন, মো. জসীম উদ্দিন, মো. মুরাদ ও মো. জামাল হেঙ্জু ।
যাবজ্জীবন সাজাদেশ প্রাপ্তরা হলেন মো. হানিফ, মো. চৌধুরী, মো. বাদশা আলম প্রকাশ কুড়াইলা বাসু, মোশারফ, মো. মিন্টু প্রকাশ হেলাল (পলাতক) ও মো. সোহেল।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন সাজার প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেকের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। রায়টি অপরাধীদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোল্লা হাবিবুর রাসুল মামুন বলেন, যুগান্তকারী রায় হয়েছে। অপরাধীদের জন্য এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। ওই ঘটনার পরদিন (৩১ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চর জব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
