দিনাজপুরের হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন এলাকাবাসী। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। একদিকে প্রচণ্ড গরম আর অন্যদিকে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম পাওয়ায় এই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে অচিরেই সমাধান হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
জাকির হোসেন নামে একজন গ্রাহক বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে হিলিতে পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। একদিকে তীব্র গরম আর বিদ্যুতের বারবার যাওয়া-আসাতে বিদ্যুৎ চালিত জিনিসপত্র, টিভি, ফ্রিজ নিয়ে খুব বিপদে আছি। মাঝে মধ্যে ফ্রিজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকায় রবফ গলে পানি বের হচ্ছে।’
আরেকজন গ্রাহক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুৎতের লোডশেডিংয়ের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ বার বিদ্যুৎ যাওয়া-আসা করছে। একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে রাতে ঘুমানো যায় না। ছোট বাচ্চাদের সারারাত পাখা দিয়ে বাতাস করতে হচ্ছে। একবার বিদ্যুৎ গেলে এক থেকে দেড় ঘন্টার পর আসে। আবার আধা ঘণ্টা পর চলে যাচ্ছে।’
মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘মাস শেষে বিল পরিশোধ না করলে লাইন কেটে দিচ্ছে। কিন্তু আমরা চাহিদা মতো বিদ্যুৎপাচ্ছি না।’
পল্লী বিদ্যুৎ হিলি সাব জোনাল অফিসের এজিএম বিশ্বজিত সরকার বলেন, ‘আমরা চাহিদা মতো বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। তাই লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছি। হিলি বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৮ মেগাওয়াট আর বরাদ্দ পাচ্ছি মাত্র আড়াই মেগাওয়াট। যা দিয়ে কোনোভাবেই হিলির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব না। তবে অচিরেই হয়তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে পারে।’
ঢাকা বিজনেস/এম