সরকার অবশ্যই সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে গণহারে সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের বিচার করবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত চক্রের মদদপুষ্ট অগ্নি সন্ত্রাসেরও বিচার করবে সরকার। বুধবার (১৯ এপ্রিল) গণভবনে ‘জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নিহত সেনা পরিবারের সদস্য, ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসে’ হতাহত পরিবারের সদস্য এবং বঙ্গবাজারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনো ভাষা আমার জানা নেই। কারণ, আমিও একদিন আপনাদেরই মতো শুনেছিলাম যে আমার আর কিছুই নেই। কিছু অপরাধী ইতোমধ্যে শাস্তি পেয়েছে, কেউ কেউ তা পাচ্ছে। আর বাকি অন্যরা শাস্তির মুখোমুখি হবে।’
জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে কী করেছিলেন, তা জনগণ ভুলে গেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া প্রথমে জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করেন। এরপর একই বছরের ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেন।’ তিনি বলেন, ‘জিয়া পরে একের পর এক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে অনেক সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। জিয়াউর রহমান যেসব সামরিক কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিলেন, তারাও জানেন না, তাদের দোষ কী ছিল। জিয়া শুধু সামরিক কর্মকর্তাদেরই হত্যা করেননি, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকেও হত্যা করেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা মামলার বিচার করতে গিয়ে বিচারকদের বিব্রত বোধ করতে হয়েছে।’২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’বিষয়ে তিনি বলেন,‘ মানুষ কিভাবে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করতে পারে, তা জানি না। বিএনপি-জামায়াত কখনই চায় না, দেশের মানুষ ভালো থাকুক।’
সম্প্রতি রাজধানীতে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সন্দেহ করছি, বিএনপি-জামায়াত জোট এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে, কারণ তারা অতীতে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করেছে। দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে তার বাবা দেশ স্বাধীন করেছেন। আমিও একই লক্ষ্যে কাজ করছি।’ সূত্র: বাসস
ঢাকা বিজনেস/এনই/