২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সোমবার



শরীয়তপুর জেলা পরিষদ ভবনের ছাদে ফলের বাগান

সাইফুল ইসলাম || ২২ মার্চ, ২০২৩, ০৬:৩৩ এএম
শরীয়তপুর জেলা পরিষদ ভবনের ছাদে ফলের বাগান


ছাদে উঠলেই চোখে পড়বে সবুজের সমারোহ। সারি সারি বিভিন্ন ফলের গাছ। বছর ঘুরতেই বিভিন্ন গাছে এসেছে ফল। রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছও। রয়েছে বাহারি ফুল গাছ। পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয় সেই ছাদবাগান। এমন দৃশ্য কোনো আবাসিক ভবনের ছাদের নয়। শরীয়তপুর জেলা পরিষদ ভবনের ছাদেই  দেখা গেলো এই দৃশ্য।

শুধু ছাদে নয়, পরিষদের ফাঁকা জায়গায়ও রোপণ করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। আছে অনেক ধরনের দুর্লভ গাছ। এরই মধ্যে ফল এসেছে প্রায় সব গাছে।


সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশি-বিদেশি মিলে ২৮ ধরনের শতাধিক গাছ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্লভ মিয়াজাকি আমের গাছ রয়েছে। এছাড়া মাল্টা, সফেদা, রকমারি জামরুল, কমলা, আঙুর, আপেল, জাম (সাদা),বিভিন্ন প্রজাতির আম গাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ চোখে পড়েছে। দুর্লভ জাপানি মিয়াজাকি, জাপানি কাঁঠাল, থাইল্যান্ডের ব্যানানা ম্যাংগো, চেরি,  ত্বিন ফল গাছও রয়েছে। রয়েছে নিম, অর্জুন, হরিতকি, বহেড়া, বাসকপাতা, অশোকসহ বিভিন্ন ঔষধি গাছ। বারোমাসি আম হয়েছে। একাধিক গাছে কমলা, পেয়ারা ও মাল্টা ফল ধরেছে। ফল  এসেছে সফেদা গাছেও। এছাড়া লেবুগাছে ধরেছে লেবু।

ছাদ বাগানসহ পরিষদের ফাঁকা জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির আম, পেয়ারা, কাঁঠাল, কলা, জাম, লেবু, জামরুল, চুঁইঝাল, কামরাঙাসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপণ করে বাগান করেছেন শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মো. শামীম হোসেন।


২০২১ সালের মে মাসে জেলা পরিষদে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মো. শামীম হোসেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৪ মে থেকে জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কম্পাউন্ডে, নদী ও খালের পাড়ে ফল ও ঔষধি গাছ লাগানো শুরু করেন তিনি। প্রায় আড়াই বছরে ৩০ হাজার গাছ রোপণ করেছেন শামীম। তবে, ২০২১ সালের জুনের ১ তারিখ থেকে পরিষদের ছাদে প্লাস্টিকের ড্রামে গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। করোনার সময়েও গাছ লাগিয়েছেন কর্মচারীদের নিয়ে।

শামীম হোসেন ঢাকা বিজনেসকে বলেন, 'শরীয়তপুর জেলা পরিষদ পরিবেশে ও বৈচিত্র্য প্রকৃতি ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখানে আসার পর দেখলাম, আমাদের মূল ভবনের ছাদ একেবারেই ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই ছাদে বাগান করার সিদ্ধান্ত নিলাম। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা শিকদার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সবাই একমত হলাম যে, ছাদে ফলের বাগান করবো। সেই অনুযায়ী প্রায় ২৮ রকমের বিভিন্ন ফলের গাছ রোপণ করলাম। যার  মধ্যে দুর্লভ কিছু গাছ আছে। যেমন,  মালবেরি, ননি ফল, মিয়াজাক্কি আম,পাল মাল, ডালিম, পেয়ারা আছে। প্রথম বছরেই আমরা ফল পেলাম। এ বছরও প্রচুর ফল ধরেছে।'

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখানে পাখিরা আসে। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিরা পেয়ারা খায়, ফল খায়। এটি আসলে আমাদের কাছে আনন্দের। বাংলাদেশে এই গাছগুলো কমে যাওয়ার কারণে পাখিরা আর আগের মতো ফল খেতে পারে না। বিভিন্ন রকমের গাছের ফল আর পাখিদের খাওয়া হয় না।  যে কারণে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।'

ঢাকা বিজনেস/এন/ 



আরো পড়ুন