গুলশানের অগ্নিকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘আগুন লাগা বহুতল আবাসিক ভবনটিতে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। সেফটি প্ল্যান নেওয়ার কথা থাকলেও নেওয়া হয়নি।’
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ভবনটি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভবনটি অত্যাধুনিক হলেও এতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে। ভবনটিতে গ্যাসের পয়েন্ট, বিদ্যুতের পয়েন্ট ও দাহ্য পদার্থ সবকিছু বেশ কাছাকাছি ছিল। কোনটা থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলা যাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে এসে ২২ জনকে উদ্ধার করি। বারবার নিষেধ করেছি কেউ যেন লাফ না দেন। যে দুজন মারা গেছেন, তারা লাফ দেওয়ার কারণেই মারা গেছেন। এটা আসলে তাদেরও দোষ না। পরিস্থিতির কারণে তারা হয়তো লাফ দিয়েছেন।’
এসময় তদন্ত কমটির সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স), গুলশান জোনের উপসহকারী পরিচালক এবং স্থানীয় ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডে ১২ তলা আবাসিক ভবনে আগুন লাগে। প্রায় ৪ ঘণ্টা যাবত জ্বলেছে আগুন। নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছিল ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। আগুন নেভাতে ও উদ্ধার তৎপরতায় বিমানবাহিনীর একটি দলও যোগ দিয়েছিল। সেসময় ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।