১৫ মার্চ ২০২৫, শনিবার



শীত, হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় নাকাল চুয়াডাঙ্গার মানুষ

মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা || ০৪ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:০১ পিএম
শীত, হিমেল বাতাস ও কুয়াশায় নাকাল চুয়াডাঙ্গার মানুষ


চুয়াডাঙ্গায় গত ২/৩ দিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে গোটা জনপদ। সারাদিন সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীতে স্বাভাবিক জীবন বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে কম বের হওয়ার কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় আরও কমতে শুরু করেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ‘বুধবার (৪ জানুয়ারী) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং বাতাসের আদ্রতা শতকরা ৯৯ ভাগ রেকর্ড করা হয়েছে। এ জেলায় কোনো শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তরের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হচ্ছে। এই হিমেল হাওয়া আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।’

দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।

তীব্র শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৪০ জন শিশু এবং বৃদ্ধ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে। আর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ৬ মাস বয়সী ৩০-৩৫ শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি কিভাবে এই ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচা যায় সেজন্য নিয়মিত রোগিদের পরামর্শ দিয়ে চলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তীব্র শীতে বেশি নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগীদের চিকিৎসা এবং সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। টাটকা ও গরম খাবার খাওয়াতে হবে। কোনোরকম বাসি খাবার খাওয়া যাবে না। আর শিশুদের সকাল-সন্ধ্যায় গরম পোশাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ঠাণ্ডা যেন না লাগে।’

ঢাকা বিজনেস/এম



আরো পড়ুন