১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার
বিএনপির অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার নির্মমতার শিকার ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের আর্তনাদ শুনুন।’বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এই আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নির্মমতায় ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। হাজার হাজার সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে, এমনকি আগে ফাঁসি কার্যকর করে পরে রায় দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। রাতের বেলায় ঘুমন্ত অফিসারকে ধরে নিয়ে গিয়ে কোনো বিচার ছাড়াই জেলে ঢুকিয়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।’
‘নামের মিল থাকার কারণে একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যখন ভুল অফিসারকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাচ্ছে, তখন সে আর্তনাদ করেছে যে, আমি নই-আমি নই, এটা আমি নই, কিন্তু কে শোনে কার কথা! ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। সেই নির্মমভাবে নিহতদের সন্তানেরা আজ ‘মায়ের কান্না’ ব্যানারে কান্নারত।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বয়োবৃদ্ধ সার্জেন্ট কামাল আজ বক্তব্য রেখেছেন, তিনি নিজেই অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার। যারা রাজনীতি জানে না, রাজনীতি বোঝে না, রাজনীতি করে না সেই নিরপরাধ সাধারণ মানুষ যারা নিতান্তই জীবিকার তাগিদে রাস্তায় বের হয়েছিলো, এমন শতশত মানুষ ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে রেহাই পায়নি। বেগম খালেদা জিয়া-তারেক জিয়ার সন্ত্রাসী-পেটুয়াবাহিনী মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ এদের নেতাদের পরিচালনায়, অর্থায়নে, নির্দেশে তাদের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিলো।’
‘বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে রাতের বেলায় যে ট্রাক চলছে না, রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে, ড্রাইভার গাড়িতে শুয়ে ঘুমাচ্ছে, সেই ড্রাইভারকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পেট্রোলবোমা মেরে ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়েছে, গাড়ির সঙ্গে ড্রাইভারও পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে -এ কেমন রাজনীতি!’ প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী হাছান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া, মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ যারা আজকে লম্বা লম্বা কথা বলে বিকেলে যারা সমাবেশ করবে তারা সবাই এই অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা এবং নির্মমতার জন্য দায়ী।’
ঢাকা বিজনেস/এমএ/
