১৪ মার্চ ২০২৫, শুক্রবার



জাতীয় নির্বাচনের পর বিপিএল

ক্রীড়া ডেস্ক || ২৪ জুন, ২০২৩, ০৫:৩৬ পিএম
জাতীয় নির্বাচনের পর বিপিএল


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পরবর্তী আসর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার (২৪ জুন) দেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে আলোচনার পর এ কথা জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইসমাইল হোসেন মল্লিক।

সাংবাদিকদের মল্লিক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সিরিজের মতোই বিপিএল আয়োজন করা হবে। দেশের সব নিরাপত্তা সংস্থা বিপিএলের সঙ্গে জড়িত। আমরা এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সময়সূচি ঠিক করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কখন বিপিএল শুরু করতে পারি এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই আমাদের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। প্রাথমিকভাবে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনের পর বিপিএল আয়োজন করবো।’ 

জানা গেছে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য বিপিএল শুরুর জন্য আমরা ১০ জানুয়ারির আগে বা তার কাছাকাছি উপযুক্ত তারিখ বের করতে পারবো। আমাদের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আসর শেষ করতে হবে। কারণ বিপিএলের পরই শ্রীলংকা সিরিজ আছে।’

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ভালোভাবে দল সাজানোর সুযোগ দিতে এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফট করার কথা বলেছেন বিপিএল সচিব।

তিনি বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের তৃতীয় বা শেষ সপ্তাহে প্লেয়ার্স ড্রাফট করার চেষ্টা করবো আমরা। যাতে প্রতিটি দল নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। আমরা ইতোমধ্যেই সম্ভাব্য সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে জানিয়েছি, সেপ্টেম্বরে প্লেয়ার্স ড্রাফটের অয়োজন এবং জানুয়ারিতে খেলা শুরু করতে চাই।’

পরবর্তী বিপিএলের শুরু থেকেই ডিআরএস পদ্ধতি দেখা যাবে। আগের দুই আসরে ডিআরএস ইস্যুটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। শুধু কোয়ালিফাইয়ার এবং ফাইনাল ম্যাচে ব্যবহার করা হয়েছিল।

মল্লিক বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ইতোমধ্যেই একটি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চার বছরের জন্য চুক্তি করেছে এবং এজন্য আগামী বছর টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ডিআরএস প্রযুক্তি নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘গতবার আমরা গ্রুপ ম্যাচে ডিআরএস ব্যবহার করতে পারিনি। এটি শুধু কোয়ালিফাইয়ার এবং ফাইনাল ম্যাচের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ডিআরএস নিয়ে গভর্নিং কাউন্সিল বা প্রযোজনা সংস্থার কেউই কোনো চুক্তি ডিল করছে না। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চার বছরের চুক্তি করেছে।’

মল্লিক জানান, আর্থিক শর্তাবলী এবং নিয়মের বিষয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি কোম্পানি দল কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে।

মল্লিক বলেন, ‘কিছু কোম্পানি বিপিএলে দল কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তিন-চারটি কোম্পানি আছে, যারা অনেক বেশি আগ্রহী। কেউ দল চালাতে না চাইলেও সমস্যা নেই। এছাড়া আমরা দলের সংখ্যা বাড়িয়ে আটটি করার পরিকল্পনা করছি। এরপর সেখান থেকে একটি বাছাই করতে পারবো।’

ঢাকা বিজনেস/এইচ



আরো পড়ুন